• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লাখো মুসল্লির ঢল, ইজতেমা ময়দানে জুমা আদায়


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৩:৩৮ পিএম
লাখো মুসল্লির ঢল, ইজতেমা ময়দানে জুমা আদায়

ঢাকা : সংকট পেরিয়ে শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা। বিশেষ এক প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রমী চার দিনব্যাপী তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমা শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের লাখো মুসলিম জনতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ তীর। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আরো দুই দিন আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে সমবেত হচ্ছেন মানুষ। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে ১৬০ একর আয়তনের সুবিশাল ইজতেমা ময়দান।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, শুক্রবার বাদ ফজর উর্দুতে চূড়ান্ত আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক শুল বয়ান শুরু করেন। আর বাংলাদেশের নোয়াখলীর মাওলানা নূরুর রহমান তা বাংলায় তরজমা করেন। ইজতেমাস্থলের বয়ান মঞ্চ থেকে মূল বয়ান উর্দূতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে ২৪টি ভাষায় তা তরজমা হচ্ছে।

বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মানুষ ইতোমধ্যে ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। এবারের বিশ্ব ইজতেমায় একসাথে অংশ নিচ্ছেন দেশের ৬৪ জেলার মানুষ।

ইজতেমা ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র যেন সফল না হয় এমন আত্মপ্রত্যয় নিয়ে বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো চার দিক থেকে ইজতেমা অভিমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। এক দিন আগেই ইজতেমা ময়দান পরিণত হয়েছে মুসলিম উম্মার মিলনমেলায়। চলছে ইসলামের ইলম-আমল, দাওয়াত, ভালোবাসা ও প্রীতির আদান-প্রদান।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মুনাজাতে অংশ নেবেন তারা। এবার ইজতেমায় থাকছে না কোনো ধাপ বা পর্ব। তবে দুই গ্রুপের আলাদা আয়োজনে আজ শুরু হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। মুনাজাত হবে সোমবার। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আখেরি মুনাজাতের সময় নির্ধারণ হয়নি। কেউ বলছেন শনিবার পূর্বাহ্নে আবার কেউ বলছেন শনিবার বাদ মাগরিব আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ ব্যাপারে গতকাল রাতে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের মাশওয়ারায় (পরামর্শ সভায়) আখেরি মুনাজাতের সময় ঠিক হবে বলে জানা গেছে। বিবাদ থাকলেও তাবলিগ অনুসারী, এলাকাবাসী ও প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের দাবি এবারের ইজতেমা যেন শান্তিপূর্ণভাবে হয়।

ময়দানের আশপাশে বসেছে হরেক রকমের দোকান। এর মধ্যে অনেকেই সেরে নিচ্ছে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা। বৃদ্ধ, যুবক, কিশোর ও তরুণসহ সব বয়সের মানুষ পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে ও টুপি মাথায় ইজতেমায় শরিক হয়েছেন। ইজতেমা ময়দানে যতটুকু চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। মাথার ওপর চটের তাঁবু নিচে সবুজ ঘাস। এর মধ্যে বিছানাপত্র বিছিয়ে রাতযাপনসহ ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হয়ে পড়েছেন ধর্মপ্রাণ লাখ লাখ মুসল্লি।

রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, এবার বিশ্ব ইজতেমা হবে কি না, তা নিয়ে সবার মনে সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত হচ্ছে। প্রতি বছর ইজতেমায় অংশ নিয়ে থাকি। এবারো এসেছি। মানুষের উপস্থিতি এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মো: আবু হানিফ জানান, আমলের জন্য ইজতেমায় এসেছি। এখানে বিশ্ব মুরুব্বিদের কাছ থেকে আখেরাতের কথাবার্তা শুনব। যেন সঠিকভাবে আল্লাহর পথে চলতে পারি সে দিকনির্দেশনা এখানে পাবো। ইজতেমায় ইসলামের জ্ঞান অর্জন করা যায়। পরিবার পরিজন রেখে কয়েক দিনের জন্য এখানে এসেছি। দেশ-বিদেশের সব মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকুক, শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা হোক এবং তাবলিগ জামাত ও ঐতিহ্যবাহী এই ইজতিমা নিয়ে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র সফল না হয় এটাই কামনা করছি।

ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য মো: ইলিয়াস জানান, গত বছর ইজতেমা শুরু হওয়ার আগে এত মানুষ হয়নি। এবার সংখ্যা অনেক বেশি।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হূমায়ূন কবীর জানান, গতকাল সকাল থেকে কয়েক লাখ মানুষ ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন। আগমন অব্যাহত রয়েছে। মানুষের সুবিধার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে এবারের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হোক এটাই সবার প্রত্যাশা।

বিশেষ ট্রেন সার্ভিস : প্রতি বছরের মতো এবারো বিশ্ব ইজতেমায় আগত মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ জন্য সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচল, বিশেষ ট্রেন পরিচালনা ও বিভিন্ন ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইজতেমায় আগতদের সেবায় আখেরি মুনাজাতের আগে ও মুনাজাতের দিন (১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি)। ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা জুমা স্পেশাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ ট্রেন চলবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফা মুনাজাতে, মুনাজাত স্পেশাল ১, ২, ৩, ৪ নামে চারটি স্পেশাল ট্রেন ঢাকা-টঙ্গীর মধ্যে চালানো হবে। এ ছাড়া লাকসাম-টঙ্গী ও জামালপুর-টঙ্গী : দু’টি (শুধুমাত্র ১৭ ফেব্রুয়ারি)।

১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আখেরি মুনাজাতের দিন। ঢাকা-টঙ্গী আটটি, টঙ্গী-ঢাকা আটটি, টঙ্গী-লাকসাম একটি, টঙ্গী-আখাউড়া একটি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ চারটি ও টঙ্গী-টাঙ্গাইল দু’টি ট্রেন চলাচল করবে। ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি আখেরি মুনাজাতের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী সব আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে দুই মিনিট করে থামবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি আখেরি মুনাজাতের দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন (আপ ও ডাউন) টঙ্গী স্টেশনে দুই মিনিট করে থামবে। ইজতেমা উপলক্ষে ১৬ থেকে ১৮ পর্যন্ত সব ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মানুষের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণ, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে টঙ্গী, বিমানবন্দর, তেজগাঁও ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি অফিসারসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

গাড়ি পার্কিং সম্পর্কিত বিধিনিষেধ :

১। রেইনবো ক্রসিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ২। ইজতেমায় আগতদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবে।

ক) চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরীবে নেওয়াজ রোড)। খ) ঢাকা বিভাগ পার্কিং : সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত। গ) সিলেট বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১৫ নং সেক্টর খালপাড় থেকে দিয়াবাড়ি গোলচত্বর পর্যন্ত। ঘ) খুলনা বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১৭ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (প্রধান সড়কসহ)। ঙ) রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : প্রত্যাশা হাউজিং। চ) বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিংসংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন। ছ) ঢাকা মহানগর পার্কিং : উত্তরার শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা।

৩। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

ডাইভারসনসংক্রান্ত তথ্যাদি :

৪। ডাইভারসন পয়েন্টগুলো (শুধু আখেরি মুনাজাতের দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে)। মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২, ধউর ব্রিজ, বেড়িবাঁধসংলগ্ন উত্তরা ১৮নং সেক্টরের প্রবেশমুখ।

৫। ডাইভারসন চলাকালীন বিধি : আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে।

কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলোকে হোটেল রেডিসন গ্যাপে ডাইভারসন দেয়া হবে। উল্লিখিত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হবে। কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিগুলোকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারসন প্রদান করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হবে।

প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলোকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারসন প্রদান করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হবে।

আখেরি মুনাজাতের দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি বিমান অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে।

আখেরি মুনাজাতের দুই দিন বিমানের অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সর্বপ্রকার যানবাহনের চালকগণকে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করতে হবে।

আখেরি মুনাজাতের দুই দিন ভোর ৪টা থেকে বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নিকুঞ্জ-১ থেকে বিমানবন্দরে আনা নেয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দু’টি মিনিবাস ও দু’টি মাইক্রোবাস ফ্রি পরিবহন সেবার জন্য নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে মোতায়েন থাকবে। ট্রাফিক সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৭১৩-৩৯৮৪৯৮) অথবা টিআই (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৯১২-০২৫৯৩৯) নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইজতেমা মাঠের সংস্কারকাজ এবং সেবামূলক কার্যক্রম নিশ্চিত করেছে। ইজতেমার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ইজতেমা মাঠে ৫টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপির কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার, র‌্যাবের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৫০টি অস্থায়ী টয়লেট, ওজু, গোসল, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ১৩টি গভীর নলকূপ থেকে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৩ কোটি ৫৪ লাখ গ্যালন সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে আকাশ ও নৌ-পথে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল। নিরাপত্তা চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে টঙ্গী শিল্পনগরী টঙ্গীকে।

ইজতেমায় ২ জনের মৃত্যু : বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা দুইজন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো: জব্বর আলী ওরফে রাজ্জাক (৪২) ও নাটোরের মোহাম্মদ আলী (৫৫)।

ইজতেমার মাজলেহাল জামাতের জিম্মাদার মো: আদম আলী জানান, বুধবার রাত ৩টার দিকে ও গতকাল বেলা ১টার দিকে তারা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, তারা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গতকাল ভোরে ও দুপুরে ইজতেমা ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তাদের লাশ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা ইজতেমায় আগত বিদেশী মেহমানদের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, ‘এ মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আমি মনে করি।’ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!