• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লাশ হয়ে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে কী করব, প্রশ্ন কনকচাঁপার


বগুড়া প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৮:৩৭ পিএম
লাশ হয়ে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে কী করব, প্রশ্ন কনকচাঁপার

ঢাকা : সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদর উপজেলার আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা নির্বাচন কমিশনের কাছে তার নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে বলেছেন, আমি লাশ হয়ে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে কী করব? নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব কী শুধু সরকারদলীয় মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া? অন্য কোনো দলের মানুষ কি বাংলাদেশের জনগণ নয়?

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা দুইটার দিকে বগুড়ায় পর্যটন করপোরেশন মোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন তুলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে কনকচাঁপা অভিযোগ করেন, তাঁকে ফোনে এবং বিভিন্নভাবে তাঁর নেতা–কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি (রিটার্নিং কর্মকর্তা) বলেছেন, হুমকি-ধমকির তো কোনো প্রমাণ নেই। কিছু ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কারা হুমকি দিচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কনকচাঁপা সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম উল্লেখ করেননি।

তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সিরাজগঞ্জে আসেন কনকচাঁপা। সেদিন থেকেই গণসংযোগের জন্য নির্বাচনী এলাকা কাজীপুরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিভিন্নভাবে নানা রকম হুমকি, ভয়ভীতির কারণে সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি নেতা-কর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে তাঁদের। অজ্ঞাত লোকজন দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার জন্য ঢুকতে তাঁকেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।

কনকচাঁপা বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই কালো রঙের একটি জিপ তাঁকে অনুসরণ করে। প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক তাঁকে অনুসরণ করে গাড়িটি। একপর্যায়ে সন্দেহ হলে কনকচাঁপা তাঁর গাড়ি থামান। এ সময় ওই জিপও তাঁর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি দেখে কনকচাঁপা তাঁর গাড়ি ঘুরিয়ে নেন। পরে ওই গাড়িটি ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে কৌশলে আত্মগোপন করেন কনকচাঁপা।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘এত দিন নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এতেও তারা ক্ষান্ত হচ্ছিল না। পরে তাঁর গাড়ি অনুসরণ করা হয়েছে। এটা কি আমাকে গুমের লক্ষণ?’

কনকচাঁপা আরও বলেন, অন্য প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে তো বিধি-নিষেধ নেই। ধানের শীষে ভোট চাওয়ার জন্যই গণসংযোগ করা। কিন্তু সেই অধিকারও মনে হচ্ছে নেই। ভোটে দাঁড়িয়ে তাঁকে দাদার বাড়িতেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, কোনো কিছু ঘটলে তাঁকে জানাতে হবে। তাহলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

কনকচাঁপা বলেন, নির্বাচনের আগে তো আমাকে বাঁচতে হবে। রোববার সন্ধ্যায় কাজীপুরের লক্ষ্মীপুর যাওয়া সম্ভব হয়নি। কৌশলগত কারণে বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুন নাহার সিদ্দিকা বলেন, কনকচাঁপা তাঁর নির্বাচনী এলাকাতেই গত দুই দিন রয়েছেন। গণসংযোগ করতে তাঁর কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, তা আমাকে জানানো হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাজেদুর রহমান, বগুড়া জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী লাভলী রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এই আসনে কনকচাঁপার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!