• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লোকসানের মুখে বাগাতিপাড়ার মসুর ব্যবসায়ীরা


তুহিন হোসেন (নাটোর) নভেম্বর ১৪, ২০১৬, ১১:১৪ এএম
লোকসানের মুখে বাগাতিপাড়ার মসুর ব্যবসায়ীরা

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন বাধাই মসুর ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে মসুর আমদানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকাংশে কমে গেছে দেশীয় মসুরের চাহিদা। এছাড়া গত মওসুমে মসুরের ক্রয়মূল্য বেশি হওয়া ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার তমালতলা এলাকার ব্যবসায়ী মধু জানান, গত মওসুমে তিনি মোট ২১০ মণ মসুর ক্রয় করেছেন। সে সময় তিনি প্রতি মণ ৩৬০০ থেকে ৪২০০ টাকা দরে কিনেছেন। এদিকে গোডাউন ভাড়া দিয়ে তার মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে এখন ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজার দর মাত্র দুই হাজার থেকে ২৬০০ টাকা। এ দরে বিক্রি করলে তিনি ৫ লাখের কিছু বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এ অবস্থায় তিনি প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তিনি বলেন, বাজারে মসুরের ডাল ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পাইকারি বাজারে মসুরের দাম কম। এদিকে ডালের মিলগুলোও মসুর ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, তিনি এবার প্রথমবারের মতো ৩০ মণ মসুর ক্রয় করেছিলেন। দাম না পেয়ে লোকসান হওয়ায় তিনি চলতি মওসুমে মসুর ব্যবসা ছেড়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে মসুর আমদানি করায় দেশীয় মসুরের চাহিদা কমেছে। ফলে বেশি দামে কিনলেও বর্তমান বাজার মুল্য পড়ে গেছে। তিনি আগামী মওসুমে মসুর দাম এভাবে কম থাকলে কৃষকরাও লোকসানের মুখে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, কৃষি বিভাগ মসুরের ওপরে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে আগামীতেও ফলন ভালো হবে বলে তিনি আশা করেন। তবে কৃষি পণ্যের দাম ওঠা-নামা করে বলে মন্তব্য তিনি করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/টিএইচ/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!