• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি দিল বুয়েট ঘটনার আসামি জিওন


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১২, ২০১৯, ১২:৪৬ পিএম
লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি দিল বুয়েট ঘটনার আসামি জিওন

ঢাকা : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিওন। শুক্রবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি এই স্বীকারোক্তি দেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় শুরুতে ফাহাদকে কিল-ঘুষি মারি। এরপর  ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে তার হাঁটুতে পেটাই।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন জিওন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) জবানবন্দি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল।

জবানবন্দীতে জিওন বলেন, বুয়েট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিনের আদেশে ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে আনেন কয়েকজন।

কক্ষটি ছিল ইফতি, মোস্তফা ও তানভিরের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ফাহাদকে শিবির শনাক্ত করা। প্রথমে ফাহাদ নামগুলো বলছিল না। পরে তার রুম থেকে দুইটি মুঠোফোন ও তার ল্যাপটপ নিয়ে আসা হয়। ওই সময় তিনি ও মেহেদি হাসান রবিন ওই কক্ষে যান। কারা শিবিরের সঙ্গে জড়িত জানতে তারা ফাহাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এরপরও মুখ খোলেনি ফাহাদ। একপর্যায়ে সামসুল আরেফিন ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন। তিনি ও মেহেদি হাসান চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পরে ইফতি স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। তিনি অনেকগুলো বাড়ি মারেন। এ সময় অনিক সরকার স্ট্যাম্প দিয়ে ফাহাদকে বেধড়ক মারতে থাকেন। পায়ের পাতা , হাঁটু ও হাতেও মারেন।

জিওন বলেন, আমিও কিছু কিল-ঘুষি মারি। পরে স্ট্যাম্প দিয়ে হাঁটুতে পেটাই। এরপর ধাপে ধাপে অন্যরা ভেতরে এসে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ফাহাদ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কয়েকবার বমিও করে। এরপর কোলে করে সিঁড়ি ঘরের পাশে নিয়ে যায়। তারপর পুলিশ ও চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!