• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শরণখোলায় আমনের বাম্পার ফলন


প্রতিনিধি, শরণখোলা, (বাগেরহাট) নভেম্বর ৯, ২০১৮, ০৪:১০ পিএম
শরণখোলায় আমনের বাম্পার ফলন

ছবি: সোনালীনিউজ

বাগেরহাট : জেলার শরণখোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে চলতি বছরে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে অনাবৃষ্টির কারণে উপজেলার অধিকাংশ ফসলের মাঠ শুকিয়ে যায়। এবং ধানের চারা হলদে রং ধারণের পাশাপাশি নানা প্রকার পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এতে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েন এ অঞ্চলের চাষীরা। অপরদিকে, উপকূলীয় এলাকা জুড়ে ৩৫/১ পেল্ডারের বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় নদীর সঙ্গে সংযুক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্মিত গেটগুলো বন্ধ থাকার কারণে নদী থেকে পানি সরবারহ না হওয়ায় চাষীরা চরম হতাস হয়ে পড়েন। কিন্তু চলতি আমন মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় কয়েক দফা নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় তিতলীর আবির্ভাব ঘটে। এতে  ৫/৭ দিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই উপকূল জুড়ে আমন রোপার আমুল পরিবর্তন ঘটে। যা চাষীদের জন্য আশির্বাদ হয়ে দাঁড়ায়।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টরে উচ্চ ফলনশীল (উপশি) এবং ৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ২৬২ মে. টন। যা গত বছরের  তুলনায় ৪০০ মে. টন বেশি। উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের চাষী চিত্তরঞ্জন শীল, রিপন শিকদার, বাবুল খান, রাজাপুর এলাকার আফজাল হোসেন, ধানসাগর এলাকার ইউসুফ হাওলাদার সহ অনেকে বলেন এ বছরের চাষাবাদের শুরু থেকে বৃষ্টি কম হওয়ায় তারা সঠিক সময় মাঠে ধানের চারা রোপন করতে পারেননি। অনেক কষ্টে রোপণ করতে পারলেও দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা ছিল না।

তবে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় তিতলিসহ উপকূলীয় এলাকায় কয়েক দফা নিম্ন চাপের সৃষ্টি হওয়ায় প্রাণ ফিরে আসে আমন আবাদের। এতে এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো চিত্র পাল্টে যায়। তাই চলতি বছরে আমন ধানের বামপার ফলন হবে বলে তারা আশাবাদী। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে আমন চাষাবাদ নিয়ে কৃষকদের মাঝে দুশ্চিন্তা থাকলেও দফায় দফায় নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে উপকূল জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। যার ফলে কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। তবে চাষীদের খোঁজ-খবর রাখার জন্য উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মোট ১০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া ২২ টি আইএফএম প্রকল্পের আওতায় ৫০টি আইপিএম ক্লাবের মাধ্যমে চাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!