বাগেরহাট: জেলার শরণখোলায় এক মাংস বিক্রেতার (কসাইয়ের) যোগসাজসে এক ব্যবসায়ীর ৪টি গরু চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী হাফিজা বেগম শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্র জানায়, গত ১২ মে সকালে তাদের গৃহপালিত ৪টি গাভী পার্শ্ববর্তী এলাকায় চড়াতে দেন। একই দিন সন্ধ্যায় গাভীগুলো বাড়িতে আনতে গেলে তার কোন সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন ওই পরিবার। পরবর্তীতে হাফিজা বেগম শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ঘটনার কয়েকদিন পর জানতে পারেন একই এলাকার বাসিন্দা বাবুল আকনের ছেলে আসাদ আকন ওই গাভী ৪টি চুরি করে উপজেলার পাঁচ রাস্তা এলাকার বাসিন্দা মাংস বিক্রেতা (কসাই) দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে ডালিম হাওলাদার ৫০ হাজার টাকায় সম্প্রতি ক্রয় করেছেন। কোন প্রকার রসিদ ছাড়াই ডালিম গাভী ৪টি ক্রয় করে তা ইতো মধ্যে জবাই করে বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে আসাদ আকনকে পাওয়া না গেলেও তার ভাই আব্বাস আকন বলেন, ওই বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। তবে আসাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন।
হাফিজা বেগমের স্বামী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, মাংস বিক্রেতা ডালিমের যোগসাজসে তার গাভী ৪টি লুট করা হয়েছে। এতে তার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, শীঘ্রই ওই মাংস বিক্রেতাসহ আসাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তবে মাংস বিক্রেতা ডালিম হাওলাদার দাবি করেন, আসাদ গরু ৪টি বিক্রির জন্য রায়েন্দা বাজারের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নিয়ে আসলে আমি তা ক্রয় করি কিন্তু গরু গুলো চুরি করা কিনা তা আমার জানা নেই।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে, পাচরাস্তার এক ব্যাবসায়ী বলেন, কসাই ডালিম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে এভাবে কম দামে চোরাই গরু ক্রয় মাংস বিক্রি করে আসছে। এছাড়া ডালিম নিজে শরণখোলা থানা থেকে ২টি মটরসাইকেল চুরির সংঙ্গে জড়িত থাকায় তার নামে মামলা রয়েছে ।
অপরদিকে, শরণখোলা থানার ওসি দিলীপ কুমার সরকার জানান, গরুর মালিক একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :