• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ

শরণখোলায় কৃষক পরিবারকে ফাঁসাতে আদালতে মামলা


প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট) মার্চ ১৮, ২০১৯, ০৪:৪৯ পিএম
শরণখোলায় কৃষক পরিবারকে ফাঁসাতে আদালতে মামলা

বাগেরহাট : জেলার শরণখোলায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কৃষক পরিবারকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক সরোয়ার হোসেন মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ৯নং রায়েন্দা মৌজার ৪৪৬নং খতিয়ানের ২৫৫৫, ২৫৫৬, ২৫৫৭, ২৫৫৮, ২৫৬০, ২৫১১, ২৫৬২ ও ২৫৬৩ দাগ হতে ৫.২৯ একর সম্পতি দীর্ঘ ৬০/৬৫ বছর ধরে তাদের পূর্ব পুরুষরা উত্তারাধিকার সূত্রে ভোগ দখল করে আসছে।

তাদের ওই সম্পত্তিতে সম্প্রতি মাছ চাষের জন্য ঘের খননের কাজ শুরু করেন। খনন কাজ বাধাগ্রস্তসহ হয়রানির উদ্দেশে স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্দনে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানোর জন্য ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা আ. কুদ্দুস খানের ছেলে মেহেদী হাসান খান দোহা সম্প্রতি শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই কৃষক পরিবারের বিরুদ্ধে মাটি বিক্রির অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই অভিযোগে সমাজ সেবক সরোয়ার হোসেন মোল্লা, সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা, আমানুল হক মোল্লা, শাহালম মোল্লা, আলতাফ মোল্লা ও আক্তার হোসেন মোল্লাকে বিবাদী করে হয়রানির চেষ্টা করে। দোহার ওই অভিযোগ সঙ্গে সরোয়ার গংদের ভোগ দখলীয় জমির দাগ ও খতিয়ানের কোনো মিল না থাকায় ওই কৃষক পরিবারের পক্ষ থেকে সরোয়ার বাদী হয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি পাল্টা আবেদন করেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। কিন্তু সেখানে বিষয়টির নিষ্পত্তি না হওয়ায় দোহা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য পুনরায় সরোয়ারসহ ৮ জনকে বিবাদী করে আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং সরোয়ার গংদের ভোগ দখলীয় জমির ওপর ১৪৪ নিষেধাজ্ঞা জারী করান। এতে ঘেরের খনন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে ওই কৃষক পরিবারের সদস্যরা অযথা হয়রানির হচ্ছেন বলে অভিযোগে দাবি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মোল্লা, আমির হোসেন তালুকদার, ইসমাইল হোসেন, হারুন হাওলাদার, ফারুক হোসেন মোল্লা, মাওলানা আবু হানিফ হাওলাদার, আলী আকবর হাওলাদার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সম্প্রতি ঝালকাঠীর বাসিন্দা দোহা যে জমি তাদের দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন তা দীর্ঘদিন ধরে সরোয়ার মোল্লাসহ তার পূর্ব পুরুষেরা ভোগ দখল করছে। স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে হয়রানির উদ্দেশে এ মনগড়া অভিযোগ করেছেন দোহা। তবে এ বিষয়ে দোহা বলেন, সরোয়ার মোল্লা গ্রুপ দীর্ঘকাল যাবৎ তার বাবার কাছ থেকে উক্ত সম্পত্তি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছে।

২০১৪ সালে তার বাবা আ. কুদ্দুস খান বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই জমি আত্মসাতের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তিনি তার লিখিত অভিযোগে যে দাখ খতিয়ানের বিষয় উল্লেখ করেছেন সেই জমি থেকেই সরোয়ার ও শাহালম মোল্লার নেতৃত্বে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে কয়েক লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছেন। যে টাকা নেয়ার সরোয়ার মোল্লাদের কোনো অধিকার নেই। জমির মূল মালিক হিসেবে উক্ত টাকার দাবিদার তার পিতা আ. কুদ্দুস খান। সে কারণে উক্ত টাকা যাতে আমার বাবা না নিতে পারে সেজন্য সরোয়ার মোল্লা গ্রুপ ওই জমির নকল মালিক সেঁজে ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!