• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শহীদ মিনারে রঙতুলির কারুকাজে ফুটে উঠছে অমর একুশে


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৩:৪৫ পিএম
শহীদ মিনারে রঙতুলির কারুকাজে ফুটে উঠছে অমর একুশে

ঢাকা : আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা দামাল ছেলেরা ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। তাদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে লাখো জনতার ঢল নামবে। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। তাই শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকা সাজানো হচ্ছে আলপনায়। শেষ সময়ে তুলির আঁচড়ে রাঙানো হচ্ছে শহীদ মিনারের বেদী। চলছে রঙতুলির কারুকাজ।

তরুণদের সাথে আলপনা আঁকছেন অনেক বয়স্ক ব্যক্তিও। শহীদ দিবসের আলপনায় শুধু ভাষা সংগ্রাম নয়, উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামের পুরো ইতিহাস।

দেয়ালচিত্রে চোখে পড়ে, বাংলা ভাষার দাবিতে প্রাণ হারানো সন্তানের জন্য মায়ের শোকের চিত্র। সঙ্গে আছে একুশের পঙ্‌ক্তি- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।

স্কুল শেষে দেয়ালচিত্র দেখতে এসেছে কিশোর-কিশোরীরা। শহীদ মিনারে ছবি তুলছে অনেকে। অনেকে বর্ণিল দেয়ালচিত্রের সঙ্গে সেলফি তুলছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে শহীদ মিনারের বেদী ও আশপাশের রাস্তাগুলোতে শুরু হয়েছে আলপনা আঁকার কাজ। ফাল্গুনের রোদ উপেক্ষা করে আলপনা আঁকছেন ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে সাহায্য করছেন এ অনুষদের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতে রঙ নিয়ে খুব যত্নের সঙ্গে রাস্তায় আলপনা আঁকার কাজ করছেন ছাত্রছাত্রীরা। শহীদ মিনারের মূল বেদী, মূল চত্বর, পাশের রাস্তা, বুয়েট এবং জগন্নাথ হলের মোড় পর্যন্ত আলপনা আঁকা হচ্ছে। একই সঙ্গে শহীদ মিনার এলাকা থেকে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজে যাওয়ার বাম পাশের সড়কে অর্থাৎ দোয়েল চত্বর সড়কে আলপনা আঁকছেন শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ শহীদ মিনারের আশপাশে দেয়াললিখনের কাজ করছেন।

আলপনার কাজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শুরু হলেও ওই এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি। শহীদ মিনারের আশপাশের যেসব এলাকায় সারা বছর ময়লা পড়ে থাকে, সে জায়গাগুলোতেও এখন আর ময়লা চোখে পড়ে না।

চারুকলার শিক্ষার্থী ইশমাত আরা চৌধুরী বলেন, আমরা প্রতি বছরেই এই আলপনা আঁকার কাজ করে থাকি। এখানে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। শহীদ মিনারে আলপনা করার অনুভূতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। গত বছরসহ এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো আমি আলপনার কাজে অংশ নিয়েছি।

চারুকলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাগর বলেন, আমি চারুকলার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হওয়ায় এ বছরই প্রথমবারের মতো মহান এই কাজে অংশগ্রহণ করেছি। এমন কাজে অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত। এ জায়গায় কাজ করার আনন্দ অন্য যেকোনো জায়গার থেকে বেশি।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!