• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৪:৩৪ পিএম
‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত

ঢাকা : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের পক্ষে উত্থাপন করা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন করেন।

তিনি বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায়ন এবং শান্তির সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।

তার প্রথমবারের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সর্বসম্মতিক্রমে রেজ্যুলেশন ৫৩/২৪৩ অর্থাৎ এ শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশনটি গ্রহণ করে। সেই থেকে শুরু করে প্রতিবছর বাংলাদেশ এই রেজ্যুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে এবং যা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং তার রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১-এর আলোকে ‘জনকেন্দ্রিক উন্নয়ন কৌশল’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশনের ২০ বছরপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, এটি টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০-এর পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের জন‌্য শান্তির সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে।

শান্তির সংস্কৃতি এমনই একটি ব্যাপকভিত্তিক ধারণা, যা এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়ন পরবর্তী সময়েও শান্তির বার্তাকে শক্তিশালী করতে সমভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, সামনের বছরে, বিশেষ করে জাতিসংঘের ৭৫ বছরপূর্তিসহ ‘বেইজিং+২৫’ বার্ষিকী এবং ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ এজেন্ডার ২০ বছরপূর্তি উদযাপন শান্তির সংস্কৃতি ধারণাকে আরো কার্যকরভাবে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে।

এবারের রেজ্যুলেশনটি গ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তির সংস্কৃতির ২০ বছরপূর্তি উদযাপনকেই শুধু স্বাগত জানায়নি, বরং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও এজেন্ডা ২০৩০-এর পূর্ণ বাস্তবায়নে এর প্রয়োজনীয়তাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। উপরন্তু, রেজ্যুলেশনটিতে সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘের কাজের তিনটি স্তম্ভের প্রতিটিতেই শান্তির সংস্কৃতির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশ বাংলাদেশের এ রেজ্যুলেশন কো-স্পন্সর করেছে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সমর্থন বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের প্রতি বিশ্ববাসীর গভীর আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!