• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাহবাগে গণজমায়েতের ঘোষণা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৫, ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম
শাহবাগে গণজমায়েতের ঘোষণা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের

ঢাকা : ফেনীর নুসরাত হত্যাকাণ্ড, দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণ ও খুন বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ৩০ এপ্রিল এ গণজমায়েতের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টার দিকে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে প্রায় ৬টা পর্যন্ত। বৈঠক শেষে আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে একের পর এক অনেক ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি খুবই দৃশ্যমান। নারীর অধিকার এবং আইনের শাসন রক্ষা করার জন্য আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে, আমরা সক্রিয়ভাবে মাঠে নামব। কারণ মানুষ চায় সভ্যতা ফিরে আসুক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। আমরা এ লক্ষ্যে আজকের বৈঠকে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মনে করি ঐক্যবদ্ধ একটা উদ্যোগ নিয়ে দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এখন জরুরি ভিত্তিতে করা প্রয়োজন বলে কর্মসূচি নিয়েছি।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিষ্ক্রিয়। যারা আইন ভঙ্গ করছে তাদের ব্যাপারে তারা নিষ্ক্রিয়। তারা বিভিন্ন ধরনের অ্যাকশনে যাচ্ছে যারা মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, পুলিশ তাদের ব্যাপারে তৎপরতা দেখাচ্ছে। কিন্তু যারা মানুষের বিরুদ্ধে, নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে তাদের ব্যাপারে একটা নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ্য করছি।’

পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার বিচারসহ নারী ধর্ষণ বন্ধের দাবিতে আগামী ৩০ এপ্রিল ঢাকায় জমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘নুসরাত হত্যাসহ নারী ও শিশু ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আমরা ঢাকার শাহবাগে বিকাল ৪টায় জমায়েত করব। এছাড়া গণশুনানির অংশ হিসেবে আমরা নোয়াখালী ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে যাব। নোয়াখালী ও রাজশাহী দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হবে। এর দিনক্ষণ আমরা পরে জানাব’।

একই সঙ্গে রমজানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঢাকায় একটি নাগরিক সমাবেশও করবে বলে জানান আ স ম রব।

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নিঃশর্তভাবে তার মুক্তি চাই।’

শ্রীলংকায় বোমা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রব বলেন, ‘এই বোমা হামলায় আমাদের একজন শিশু জায়ান চৌধুরী মারা গেছে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জায়ানের বাবা আহত অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমরা তার সুস্থতা কামনা করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কেউ সংসদে শপথ নেবে না। আমাদের এই সিদ্ধান্ত অব্যাহত আছে।’ দুজন শপথ নিয়েছেন- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যারা শপথ নিয়ে তাদেরকে তাদের দল বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ড. কামালের সভাপতিত্বে বৈঠক আ স ম আবদুর রব ছাড়াও বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, আলতাফ হোসেন, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, আবু সাইয়িদ, ড. রেজা কিবরিয়া, আমসা আমিন, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!