• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার চেষ্টা চলছে


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১, ২০২০, ১১:৩৩ এএম
শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার চেষ্টা চলছে

ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, কলেজ সরকারিকরণের আদেশ জারির দিন থেকেই শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা ইতোমধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি প্রস্তাব আমরা পাঠাবো। 

আরো পড়ুন : পরীক্ষা ও অটোপাস নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা সচিব

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান তিনি।

সচিব আরও বলেন, সরকারিকৃত কলেজগুলোর প্রজ্ঞাপন দুই বছর আগে জারির পর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের কাজ শেষ হয়নি। এ কলেজগুলো থেকে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে চলে যাচ্ছেন। প্রচলিত বিধি অনুসারে শিক্ষক-কর্মচারীরা আত্তীকরণের আদেশ জারির দিন থেকে আর্থিক সুবিধা পান। কিন্তু এরফলে সরকারিকরণের পর অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এ জটিলতা নিরসনেই আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা চালাচ্ছি।

আরো পড়ুন : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত 

মো. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, টিভিতে প্রচারিত ক্লাস কোচিংয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারে চিন্তা করছে সরকার। একইসাথে শিক্ষার প্রকল্পগুলোতে অনলাইনে পাঠদানে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। 

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এমপিও নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করা হচ্ছে। আমরা নীতিমালার সংশোধনী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আশা করছি আগামী মাসে সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হবে। পরিমার্জিত নীতিমালা জারির পর নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন নেয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, আগের এমপিও নীতিমালায় কিছু অসঙ্গতি ছিল। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কয়েক দফায় এ নিয়ে আলোচনা করেছি। কর্মকর্তারা কয়েকদফা আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করেছেন। সেটি চূড়ান্ত করতেও কয়েক দফা সভা হয়েছে। আশা করছি নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর অসঙ্গতি দূর হবে। 

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে জানানো হবে। পরীক্ষা সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয় আমরা পর্যালোচনা করছি। বেশ কিছু অপশন আমাদের হাতে আছে। তবে, আমরা চাই আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। তাই, সার্বিক দিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের সোম বা মঙ্গলবার পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারবো। 

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!