• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্রবারসহ টানা সাতদিন ক্লাস চলবে!


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩০, ২০২০, ১১:৩৭ এএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্রবারসহ টানা সাতদিন ক্লাস চলবে!

ঢাকা : করোনাভাইরাস জনিত বৈশ্বিক মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসং‌যোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গত ১৫ জুন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে টানা সাত দিনই ক্লাস নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ পাঠ্য সূচি দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় পুনর্বিবেচনা করবেন।   

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কয়েক দফা বাড়ানো হয়। গত ১৭ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস চলছে এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ভিডিও ক্লাস চলছে। এই নামে একটি ওয়েব পোর্টালও ডেভেলপ করা হচ্ছে। 

দীর্ঘ ছুটির কারণে সাধারণ এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল ও হাওরসহ দুর্গম এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের আওতায় আনারও চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমিয়ে এবং ক্লাস বাড়িয়ে ক্ষতি পূরণ করার কথা ভাবছে সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ঠ একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কথা বিবেচনা করে শুক্রবারসহ ৭ দিন ক্লাস নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় কমেছে ৮০ শতাংশ। মাত্র ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ ও ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ এই দুটি অনুষ্ঠান দেখছে এবং ১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে। যারা টিভি ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে তারা আবার টেলিভিশনে ক্লাস অনুসরণ করাকে বেশ কঠিন বলে মনে করছে। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে যেখানে গ্রামের শিক্ষার্থীরা দিনে স্কুল, কোচিং ও বাড়িতে নিজেদের পড়ালেখা মিলে ১০ ঘণ্টা ব্যয় করত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ২ ঘণ্টায়, অর্থ্যাৎ ৮০ শতাংশ সময় কমেছে পড়াশোনার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগে যেখানে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ২ ঘণ্টার বেশি আয়মূলক কাজে জড়িত ছিল এখন তার হার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশে। এই তথ্যগুলো গ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পাওয়া গিয়েছে। শহরের বস্তি এলাকাও চিত্রটা মোটামুটি একইরকম সেক্ষেত্রে হিসাবটা অনেকাংশেই সঠিক।
 
সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!