• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘শিগগিরই নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদের গেজেট’


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯, ১০:৩২ পিএম
‘শিগগিরই নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদের গেজেট’

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীন গণমাধ্যম ও অবাধ তথ্য প্রবাহ বর্তমান সরকারের সাফল্যের অন্যতম মাইলফলক। সরকার সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৯ম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গত বছরের পহেলা মার্চ সকল সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়েজ বোর্ড কর্তৃক দাখিলকৃত রোয়েদাদের সুপারিশমালা পরীক্ষা করে শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করা হবে।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এতথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী।

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য এম মোর্শেদ আলমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকে ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে একটি মন্ত্রীসভা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে, যিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী, শিগগিরই ওয়াজ বোর্ড রোয়েদাদের গ্রেজেট প্রকাশের পর তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্মার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নেতৃত্বাধীন সরকারে যুগান্তকারী উন্নয়নে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৮ সালে সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ, আর এখন ৮ কোটির উপরে। আর অনলাইন মিডিয়া কয়েক হাজার। আমরা অনলাইন নীতিমালা করছি। দেশের সমস্ত অনলাইন মিডিয়াকে নীতিমালার আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে।

তিনি বলেন, অনলাইন মিডিয়ার জন্য একটি অনলাইন নীতিমালার খসড়া মন্ত্রীসভার বৈঠকে তোলা হবে। মন্ত্রী পরিষদে তা অনুমোদিত হলে সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। সেক্ষেত্রে সকল অনলাইন মিডিয়াকে অবশ্যই নিবন্ধন নিতে হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪৪টি। সম্প্রচার আছে ৩৩টি। প্রয়োজনের নিরিখে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

অনেক চ্যানেলের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী কর্মকান্ড প্রচারের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, কিছু বেসরকারি টিভি চ্যানেলে যে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর সম্প্রচার করা হয়, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল রয়েছে। অচিরেই সকল বেসরকারি টিভি চ্যানেলের বার্তা প্রধানদের ডেকে বৈঠক করবো। সেখানে আর যেন মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার না করা হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যকে অনেক সাংবাদিককে আর্থিক ও চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা পেশা ও স্বাধীনভাবে তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!