• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশুর এক বছর বয়স পর্যন্ত যে ৪ খাবার ক্ষতি করে


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ১২:৫৭ পিএম
শিশুর এক বছর বয়স পর্যন্ত যে ৪ খাবার ক্ষতি করে

ঢাকা : পৃথিবীতে আসার পর একটি শিশুকে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। আবহাওয়া, খাদ্য- সবকিছুই তার জন্য নতুন। জন্মের পর অন্তত এক বছর পর্যন্ত শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোন খাবার তাকে দেওয়া যাবে এবং কোন খাবার দেওয়া যাবে না, তা জানা থাকা ভীষণ জরুরি।

প্রথম ছয় মাস মায়ের দুধ ছাড়া আর কিছুই খাওয়ানো যাবে না। তবে মায়ের দুধ তার জন্য পর্যাপ্ত না হলে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। ছয় মাস পর তাকে নতুন নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানো হয়, তখন তাকে এই চারটি খাবার ভুলেও খেতে দেবেন না।

মধু : আমাদের সমাজে এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, জন্মের পরপর শিশুর মুখে মধু দিলে সেই শিশুর মুখের ভাষা পরবর্তীতে মিষ্টি হয়। তাই তো শিশুকে মধু খাওয়ানোর রেওয়াজ চালু আছে অনেক জায়গায়ই। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। বরং বয়স অন্তত এক বছর না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে মধু খাওয়ানোই উচিত নয়।

মধুর থেকে শিশুর শরীরে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে, যার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! তাই মুখের ভাষা মিষ্টি চাইলে শিশুকে শিষ্টাচার শেখান, মুখে মধু দেওয়ার দরকার নেই।

লবণ : আয়োডিনের উৎস হলো লবণ। লবণ শিশুর বিকাশের জন্য অত্যন্ত দরকারি উপাদান। তাই বলে শিশুকে তার বয়স এক বছর না হতেই আলাদা করে লবণ খেতে দেবেন না। কারণ শিশু মায়ের দুধ থেকেই পর্যাপ্ত সোডিয়াম পায়। তাই আলাদা করে আর লবণ খাওয়ার একদমই প্রয়োজন নেই।

এত অল্প বয়সে লবণ খেলে কিডনিতে পাথর, উচ্চরক্তচাপ, ডিহাইড্রেশন এবং হাড়ের ক্ষয় দেখে দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন সব সময়।

গরুর দুধ : মায়ের দুধের পরপরই শিশুর খাবার হিসেবে বেছে নেওয়া হয় গরুর খাঁটি দুধকে। গরুর দুধে নিঃসন্দেহে নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারীও। কিন্ত যেসব শিশুর বয়স এখনো এক বছর হয়নি তাদের ভুল করেও গরুর দুধ খাওয়াতে যাবেন না।

গরুর দুধে যে মাত্রায় খাদ্যগুণ থাকে, তা শিশুর শরীর হজম করতে পারে না। তাই এক বছরের কম বয়সের শিশুকে গরুর দুধ খেতে দিলে সেখান থেকে মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রিফাইন্ড সুগার : রিফাইন্ড সুগার বড়দের খেতে মানা নেই তবে আপনার সন্তানের বয়স এক বছর হওয়ার আগেই তাকে এটি খেতে দেবেন না। শিশুর শরীরে যতটুকু মিষ্টি প্রয়োজন তা প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি খাবার ও কার্বোহাইড্রেট থেকে সংগ্রহ করে নেয়।

আলাদা করে মিষ্টি খেলে দাঁতের ক্ষয়, স্থূলতা, ডায়াবিটিসের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এক বছর বয়সের আগে শিশুকে ভুলেও চকোলেট, কোমল পানীয়, ক্যান্ডি জাতীয় খাবার দেবেন না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!