• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শীর্ষ সন্ত্রাসী মিনা কামাল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত


খুলনা প্রতিনিধি জুলাই ৩০, ২০২০, ১০:৩৮ এএম
শীর্ষ সন্ত্রাসী মিনা কামাল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা: খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল ওরফে ফাটা কেস্ট (৫৫) র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। জেলা পুলিশের শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম ছিল। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোরে বাগেরহাট জেলার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ভেকুটিমারি স্থানে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হন।  

পুলিশ সূত্র জানায়, রূপসার আলোচিত সারজিল ইসলাম সংগ্রাম (২৮) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি মিনা কামালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২৫টি মামলা রয়েছে। মিনা কামাল রূপসা উপজেলার মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং যুবলীগের নেতা ছিলেন। 

এ বিষয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামপালের ভেকুটিমারি এলাকায় ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় মিনা কামালের লোকজন র‌্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষায় র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মিনা কামাল গুলিবিদ্ধ হন এবং তার সঙ্গীরা পালিয়ে যান। 

এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিনা কামালকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, ছুরি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। মিনা কামালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২৫টি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।

বিষয়টি নিয়ে রামপাল থানার ডিউটি অফিসার আসছার উদ্দীন খান জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধে’র পর র‌্যাব সদস্যরা সকাল ৬টার দিকে গুলিবিদ্ধ মিনা কামালকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, মিনা কামাল খুলনার রূপসা উপজেলার চিহ্নিত খুনি-সন্ত্রাসী। তার কর্মকাণ্ড খুলনার এরশাদ শিকদারকেও হার মানিয়েছে। জেলা পুলিশের শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিল তার নাম। আবার দলীয় পদ-পদবি না থাকলেও নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করতেন মিনা কামাল। তার বিরুদ্ধে ২৫টিরও বেশি মামলা, শতাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। যার মধ্যে নয়টি খুনের মামলা।  

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!