• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুরুতেই মিশার কূটচালে ধরা খেলেন মৌসুমী!


বিনোদান ডেস্ক অক্টোবর ৪, ২০১৯, ১১:২২ এএম
শুরুতেই মিশার কূটচালে ধরা খেলেন মৌসুমী!

ঢাকা : চলচ্চিত্র শিল্পী সমতির নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র একা জমা দিয়েছেন চিত্র নায়িকা মৌসুমী। তাঁর প্যানেল করার কথা থাকলেও শেষ অবধি করতে পারেননি। কেন পারেননি?

সেই প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমে জানিয়েছেন, ওপর মহলের নির্দেশে তার সঙ্গে যারা প্যানেল করতে চেয়েছিলেন তারা সরে গেছেন। একই কথা বলেছেন, মৌসুমীর প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পার্থী ডি এ তায়েব। এই নায়ক আবার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। স্বয়ং সোহেল রানা তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ কথা তায়েব একটি সংবাদমাধ্যমকে অকপটে জানিয়েছেন।

তায়েবকে কেন সরে যেতে বললেন সোহেল রানা? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে যে নির্বাচন করছেন সোহেল রানারই ভাই আরেক নায়ক রুবেল। তিনি সহ-সভাপতির পদে নির্বাচন করছেন। শুধু ডি এ তায়েব নয়, মৌসুমীর প্যানেল থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্নিমা, পপি, নিপুনদেরও। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে মৌসুমী অভিযোগ করেছেন তারাও ওপর মহলের চাপে সরে গিয়েছেন।

শিল্পীদের ভোটের লড়াইয়ের আগেই কী হেরে গেলেন মৌসুমী? মিশা সওদাগরের চালটা বোধহয় ধরতে পারেননি এই নায়িকা। তিনি অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ডিপজলকে আগেই কবজা করে ফেলেছিলেন। মিশার প্যানেল থেকেই এই ভয়ঙ্কর ভিলেন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন।

এটা ধরে নেওয়াই যায় যে, চলচ্চিত্র ইন্ড্রাস্ট্রিতে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে ডিপজলের। তিনি যে ছবিগুলো নির্মাণ করেন বেশিরভাগেই তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে। সুতরাং ডিপজলকে হাত করে শুরুতেই বাজিমাত করেছেন মিশা। আর এখানেই ধরা খেয়েছেন মৌসুমী। যদিও তাঁর সঙ্গে নাম্বার ওয়ান হিরো শাকিব খানসহ আরও অনেকেই ছিলেন। কিন্তু শেষে আর কাউকে পাশে পেলেন না মৌসুমী। শাকিব হয়তো আগেরবারের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে এবার আর সামনে আসতে চাননি।

যদিও মৌসুমীর ওপর মহলের প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মিশা ও জায়েদ। মিশা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,‘ এসব কথার কোনও ভিত্তি নেই। আমার সহকর্মী মৌসুমী প্রার্থী হয়েছেন। তাকে আমি অভিনন্দন জানাই। তবে সে যেসব কথা বলছে আমি তার সাথে একমত হতে পারলাম না। সত্যি যদি কোনও প্রভাব কেউ খাটিয়ে থাকে তবে মৌসুমী তার প্রমাণ দিক।’

মিশার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন জায়েদ। তার ভাষায়,‘ আমরা একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চাই। এখানে কোনো অনৈতিক প্রভাবের সুযোগ নেই। আমরা মাত্র ২১ জন নিয়ে প্যানেল দিয়েছি। আরও ৪০০ জনের বেশি সদস্য বাকি। তাদের নিয়ে প্যানেল না করতে পারলে কারও তো কিছু করার নেই। উনারা হয়তো আমাদের প্যানেল দেখে ভয় পেয়ে এসব ভিত্তিহীন কথা বলছেন। কোনও প্রমাণ থাকলে তারা সেটা নিয়ে কথা বলুক।’

জায়েদ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এটা আসলে একটা মালাবদলের নির্বাচন। যিনি আমার বিপরীতে জিতে আসবেন আমি নিজে তাকে মালা পরিয়ে বিদায় নেব। কোনওরকম গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!