• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ ওভার কেন মাহমুদউল্লাহকে দিলেন মাশরাফি?


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮, ০১:২২ পিএম
শেষ ওভার কেন মাহমুদউল্লাহকে দিলেন মাশরাফি?

ঢাকা: শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান। অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার হাতে বিকল্প ছিলেন তিনজন-মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শেষ ওভারে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ‍দুর্দান্ত বল করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে সেই কথাটি অধিনায়কের মাথায় খেলে গেল। প্রথমে সৌম্যকে বল দিতে চেয়েও দিলেন না ঠিক এ কারণেই।

মিরাজের কথা ভাবেননি, তিনি ভালো করতে পারছিলেন না বলে। ৪ ওভার থেকে দিয়ে ফেলেছেন ২৭ রান। ম্যাচ শেষে শেষ ওভারটি মাহমুদউল্লাহকে দেওয়ার কারণ জানালেন মাশরাফি,‘ আমিই বদলেছি সিদ্ধান্ত। কারণ ও বিপিএলে শেষ ওভারে বোলিং করেছে, দুইবার শেষ ওভারে দলকে জেতানোর অভিজ্ঞতা আছে। এটাই আমার মাথায় কাজ করেছে। আমি শুধু ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আত্মবিশ্বাস কতটা আছে। সে সাহস দেখানোর পর ওকেই দিয়েছি। তাছাড়া সৌম্যর পেস কাজে লাগিয়ে হয়তো রান হয়ে যেত সহজেই। ভাবনা ছিল মাহমুদউল্লাহকে যদি মারতেও যায়, তবু আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

এই যুগে ৬ বলে ৬ রান কঠিন কিছু নয়। হাতে উইকেটও আছে ৩টি। তবুও মাহমুদউল্লাহ সহজে ছাড়েননি। একেবারে শেষ বল অবধি লেগেছে ভারতের জিততে। শেষ ওভারের আগে মাহমুদউল্লাহকে কী বলেছিলেন মাশরাফি? বাংলাদেশ অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলে গেলেন,‘ মাহমুদউল্লাহকে বলেছিলাম যে ওরা মারতে যাক। মারলে উইকেট পড়ার সুযোগ আছে। বিশেষ করে কুলদীপের ক্ষেত্রে চাচ্ছিলাম যেন মারতে গিয়ে মিস হিট করে। কেদার যাদব মোটামুটি স্বীকৃত ব্যাটসম্যান, ওর ক্যালকুলেশন হয়তো আরও ভালো হবে। ৫ নম্বর বলটা যদি কানায় না লেগে উইকেটে থাকত, তাহলে অন্যরকম হতে পারত। আসলে এসব সময়ে ভাগ্যের সহায়তা দরকার হয়।’

শেষ বলে যদি কেদার যাদব রানটা না নিতে পারতেন তাহলে এশিয়া কাপের ফাইনালটা চলে যেত সুপার ওভারে। মাশরাফি সেটাও ভাবনায় রেখেছিলেন,‘ ফাইনালে সুপার ওভারের নিয়ম ছিল। শেষ বলে ডট বা আউট হলেই হতো। রিয়াদ চেষ্টা করেছে। ইয়র্কারই করেছে। প্যাডে লেগে এক রান হয়ে গেছে। রিয়াদ দারুণ বল করেছে। ওই সময়েও যেভাবে বল করেছে তা অসাধারণ। ৬ রান করতে ওদের ৬ বলই লেগেছে, দারুণ বোলিং বলতেই হবে।’


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!