• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ মুহূর্তে রমরমা আতর-টুপি-জায়নামাজের বাজার


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৫, ২০১৯, ০৭:০৫ এএম
শেষ মুহূর্তে রমরমা আতর-টুপি-জায়নামাজের বাজার

ঢাকা : দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের প্রথম প্রহরে নতুন জামাকাপড়ের সাথে নতুন জায়নামাজ, টুপি আর আতর না হলে ঈদই যেন অনেকটা ফিকে। শেষ মূহুর্তে নগরবাসী তাই ভিড় করছে আতর, টুপি, জায়নামাজ ও সুরমার দোকানে। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকার মার্কেটগুলোতে আতর, টুপি ও সুরমার বেচাকেনা তাই রমরমা।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট ও দক্ষিণ গেটে মঙ্গলবার (৪ জুন) আতর-টুপি-সুরমার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

বিক্রেতোরা আশা করছেন, সারা বছরের তুলনায় ঈদের এই সময়ে আতর, টুপির কেনাবেচা বেশি হয়ে থাকে। চাঁদরাতে তাদের এই কেনাবেচা আরও জমজমাট হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেও অনেকেই ভিড় জমান এই দোকানগুলোতে।

তাদের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, বিক্রেতারা দেশি-বিদেশি আতর ও টুপি বিক্রি করেন। তবে ক্রেতাদের আগ্রহ বিদেশি টুপির চেয়ে দেশি টুপির দিকে। কিন্ত দেশি আতরের চেয়ে বিদেশি আতর বেশি বিক্রি হয়। এর মধ্যে বেশি বিক্রি হয় ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের আতর।

আতর বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বেচা বিক্রি মোটামুটি ভালো। আমাদের দেশে ইন্ডিয়ান, দুবাই ও সৌদি আরবের আতর বেশি চলে। এসব আতরের দাম ৩০০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। যেমন অ্যাসেল, ডি’আভ, অ্যাপল, আইসবার, যানাশিন, বেস্ট, এক্সপোর্ট, ডার্ক, অরেঞ্জ, রোজ মাস্ক, ম্যাগনেট, হোয়াইট মাস্ক, নাজিম উল্লেখযোগ্য।

আরেক আতর ব্যবসায়ী নিজামুল ইসলাম বলেন, কেনাবেচা আগের মতো আশানুরূপ নয়। চাঁদ রাতের অপেক্ষা করছি। আতরের পাশাপাশি আমরা সুরমা ও তাসবীহ বিক্রি করি। দেশি-বিদেশি আতরের মধ্যে রয়েছে ব্লু ওয়েব, ব্রাউন মিরেজ, ম্যাগনেট, ডানা, সুইস ম্যাগনেট, সুলতান, ব্লু লেডি, বিস্কুট, লর্ড, বাকর ব্লুসম, ব্ল্যাক কোড, দুবাই গোল্ড, আলিফ, নেভি ও চকোলেট মাস্ক ইত্যাদি।

অন্যদিকে টুপি বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, এবার বিক্রি ভালোই হচ্ছে। আশা করছি সন্ধ্যার পর এই বিক্রি বাড়বে। আমরা দেশি টুপির পাশাপাশি বিদেশি টুপি বিক্রি করি। বিদেশি টুপির মধ্যে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি টুপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এই দোকানে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দামের টুপি বিক্রি হয়।

এছাড়া জায়নামাজের দোকানগুলোতেও ভিড় লক্ষ করা যায়। বিক্রেতারা জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই তাদের বিকিকিনি আরও দ্বিগুণ হবে। যা চলবে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!