• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংবিধান অনুসারেই সবকিছু এগোচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৩, ২০১৮, ১০:৪৩ পিএম
সংবিধান অনুসারেই সবকিছু এগোচ্ছে

ঢাকা : একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা এবং চারজন টোকনোক্র্যান্ট মন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা থাকলেও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলছেন সবকিছু ‘সংবিধান অনুসারেই’ হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারই এখন দায়িত্বে আছে। এ সরকারে কোনো টেকনোক্র্যান্ট মন্ত্রী থাকবেন না। যে চারজন টেকনোক্র্যান্ট মন্ত্রী ছিলেন, তাদের পদত্যাগপত্র ‘যে কোনো সময়’ গৃহীত হবে।

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বে¬কেননের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ বিষয়ে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ঘোষণাকে ‘শুভ লক্ষণ’ হিসেবে বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে চলেছে বলে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ৭ দিন পিছিয়েছে।  সব কিছুই ঠিকঠাক মতই চলছে।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে এক প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো এখন নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বই পালন করছি, আমাদের এখন রুটিন ওয়ার্ক, ফাইল সই করব দৈনন্দিন কাজের, নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি না।’

পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া চারজন এখনও মন্ত্রী আছেন কি না- সেই প্রশ্নে তোফায়েল বলেন, ‘এটা গ্রহণ করতে হয়। আর পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে, উনি যখন গ্রহণ করবেন, এরপরে যা হয়- এটার প্রসেস আছে, তারা জমা দিয়েছেন, যে কোনো সময় এটা কার্যকর হবে।’

নির্বাচনকলীন সরকারে টেকনোক্র্যাট কোনো মন্ত্রী থাকবেন না জানিয়ে তোফায়েল বলেন, ‘আমার বিবেচনায় সংবিধান অনুসারেই সব কিছু এগোচ্ছে, এখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।’

নির্বাচনের আগে দেশে এখন ‘সুন্দর’ পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি নির্বাচান পর্যন্ত এই পরিবেশটা বিরাজ করবে এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা বিজয়ী হবেন, তারা সরকার গঠন করবে।’

আদালতের রায়ে সাজা হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলেই মনে করেন তোফায়েল।

তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু সংবিধান সম্পর্কে ধারণা আছে, কারো যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয়, তারপরে যদি সে মুক্তও হয়, তার পাঁচ বছরের মধ্যে সে নির্বাচন করতে পারে না, যতক্ষণ সে সাজাটা হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট বাতিল না করে। সুতরাং সাজাপ্রাপ্ত কেউ নির্বাচন করতে পারবে বলে সংবিধানে নেই।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!