• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংরক্ষণের জায়গা নেই, আলু নিয়ে বিপাকে কৃষক


শরীয়তপুর প্রতিনিধি মার্চ ১৫, ২০১৯, ০৭:০৩ পিএম
সংরক্ষণের জায়গা নেই, আলু নিয়ে বিপাকে কৃষক

ফাইল ছবি

শরীয়তপুর : দু’দফা বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতি হওয়ায় শরীয়তপুরের কৃষকরা বিপাকে পরেছে। জমিতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। শরীয়তপুরে কোনো হিমাগার না থাকায় আলু সংরক্ষণও করতে পারছে না কৃষকরা।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ মৌসুমে শরীয়তপুরে এক হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন। ডিসেম্বর মাস থেকে কৃষকরা জমিতে আলুর আবাদ শুরু করেন। ফ্রেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ হতে এ এলাকার কৃষকরা জমি থেকে আলু উত্তোলন শুরু করে। এমন সময় বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বৃষ্টিতে ৭৫ হেক্টর জমির আলু আক্রান্ত হয়েছে।

গত সপ্তাহে চারদিন ও এ সপ্তাহে একদিন বৃষ্টি হওয়ায় জমি হতে আলু উত্তোলন করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। হিমাগার না থাকায় উত্তোলন করা আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে কম দামে ফরিয়াদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের শিবসেন গ্রামেন কৃষক দেলোয়ার হোসেন তিন বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। জমি থেকে আলু উত্তোলনের আগেই বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি জমে কাদার সৃষ্টি হওয়ায় আলুর ক্ষতি হতে থাকে।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, জমিতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। দ্রুত আলু উত্তোলনের চেষ্টা করছি। বৃষ্টির পানির কারণে ৫০ শতাংশ আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বছর আলুর আবাদ করে ক্ষতির সম্মুখীন হলাম।

নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য এনায়েত মৃধা বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে অনেক আলু উৎপাদন হয়। কিন্তু তা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য কোন হিমাগার নেই। একটি হিমাগার স্থাপন করলে কৃষক আপদকালীন সময়ে কৃষি পণ্য মজুদ করতে পারত। বৃষ্টির কারণে আলু দ্রুত জমি থেকে উত্তোলন করতে হচ্ছে। কিন্তু সংরক্ষণ করতে না পেরে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নড়িয়ার নওপাড়া মুন্সীকান্দি গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, জমিতে পানি জমেছে, দ্রুত আলু উত্তোলন করতে হচ্ছে। সংরক্ষণ করতে না পেরে কম দামে ফরিয়াদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৭ টাকা হতে ৮ টাকা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রিফাতুল হোসাইন বলেন, অসময়ে বৃষ্টিতে আলুর অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা ঢাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। কৃষক আলু সংরক্ষণ করতে পারলে কিছুটা ক্ষতি পোষাতে পারত। কিন্তু হিমাগার না থাকায় কৃষক সে সুযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!