• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদের মনোনয়ন দৌড়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ৩, ২০১৮, ১০:১১ পিএম
সংসদের মনোনয়ন দৌড়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা

ঢাকা : জেলা পরিষদের ৪০ চেয়ারম্যান, শতাধিক উপজেলা চেয়ারম্যানের পাশাপাশি পৌরসভার মেয়ররাও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী। তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এসব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিরূৎসাহিত করা হচ্ছে।     

শরীয়তপুর-১ আসনে নির্বাচন করতে মাঠে নেমেছেন জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে এ আসন থেকে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো।’

তার মতো এরকম একশোরও বেশী উপজেলা চেয়ারম্যান সারাদেশে জাতীয় নির্বাচনে লড়াই করতে আগ্রহী। যাদের বেশীর ভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। তাদের মধ্যে বরিশাল-২ আসনে বানারীপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, বরিশাল-৫ আসন সাইদুর রহমান রিন্টু, পিরোজপুর-১ আসনে মজিবুর রহমান খালেক, ময়মনসিংহ-৮ এ মাহমুদ হাসান সুমন, জামালপুর-১-এ আবুল কালাম আজাদ, নীলফামারী-৪ এ মোখছেদুল মোমেনিন, লালমনিরহাট-১ এ রুহুল আমিন বাবুল, টাঙ্গাইল-৮ এ  শওকত সিকদার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান।

হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন যাবত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করে চলেছি। এখানকার মানুষের সুখে দুঃখে তাদের সাথে মিশেছি। এলাকার মানুষই আমাকে মনোনয়ন চাওয়ার জন্য বলছে।’

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিসুর রহমান জানান, ‘আমি আশা করি সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমার বিষয়টি বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমি এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে সক্ষম হবো।’

পিছিয়ে নেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরাও। ৬১ জেলা পরিষদের ৪০জনই নিজ দল আওয়ামী লীগের মনোনায়ন চান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সফিকুল আলম এমএসসি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনেই আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে আমি আবশ্যই এই আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।’

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে স্থানীয় সরকারের দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে লড়তে হবে। তাই তারা সংসদ সদস্য পদে লড়াই করলে দু’ক‚লই হারাতে পারেন বলে সতর্ক করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ডক্টর আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান বা মেয়ররা যদি জাতীয় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চায় তাহলে তাদেরকে পদত্যাগ করে এখানে দরখাস্ত করতে হবে। তারপর আমরা সেটা বিবেচনা করে দেখবো, কারণ একটি পদ ছেড়ে তারা অন্য একটি পদে আসতে চান এটা ঠিক হবে না। তবে তারা যদি সে ঝুঁকিনিতে চায় সেটা তাদের ব্যাপার কিন্তু মনোনয়নের কোন নিশ্চয়তা নেই।'

এছাড়া আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য রশিদুল আলম জানান, ‘কেউ যদি মনোনয়ন পায় তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে অর্থাৎ নির্বাচিত পদ থেকে সরে আসতে হবে। তবে আগে থেকে কেউ যদি পদত্যাগ করেন কিন্তু মনোনয়ন না পায় তাহলে তিনি বিপদে পড়তে পারেন।’

এদিকে বেশ ক’জন পৌরমেয়রও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহনের আগ্রহের কথা জানিয়ে মাঠে আছেন। অনেকেই মনে করেন, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে বিভক্তির এটিও একটি বড় কারণ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!