• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০২:২৩ পিএম
সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

ঢাকা : শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে অনুষ্ঠানে হামলার পর বাংলাদেশেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তবে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে দাবি করলেও সর্বদা সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে জঙ্গি হামলার পর নড়েচড়ে বসেছিল বাংলাদেশের জঙ্গিরা। আবু আল বাঙালী নামে নব্য জেএমবির নেতা পরিচয়ে বাংলাদেশেও হামলার হুমকি দিয়েছিল। আবু আল বাঙালীর খোঁজে গোয়েন্দারা ছুটে বেড়াচ্ছে এখনো। ধারণা করা হচ্ছে আবু আল বাঙালী কোনো জঙ্গির ছদ্মনাম। গোয়েন্দারা সর্বত্র সোর্স নিয়োগ করেও তার  কোনো হদিস করতে পারেনি।

পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে বাংলাদেশের জঙ্গিরা বড় ধরনের হামলা চালাতে পারবে না। এর কারণ হচ্ছে তারা একের পর এক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই। স্বল্পসংখ্যক জঙ্গিও বড় প্ল্যান করে ফেলতে পারে। তারা যেহেতু নিজেদের জীবনের পরোয়া করে না। তাই তারা ঝুঁকি নেয়। জঙ্গিবাদকে তারা জিহাদ মনে করে। হামলায় সফল হলে বেশি মানুষ হত্যা করতে পারলে তারা নিজেদেরকে সফল মনে করে। সুতরাং জঙ্গিদের  হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে অনুষ্ঠানে হামলার খবর পেয়ে বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কাবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে ওই দিন থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের সব ইউনিটকে বার্তা পাঠানো হয় পুলিশ সদর দফতর থেকে। এ ছাড়াও কূটনৈতিকপাড়া, মন্ত্রীপাড়া, গণভবন, সংসদভবন বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিমানবন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেন, পুলিশ সদা সতর্ক। কারণ জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে প্রতিপক্ষ মনে করে। এ কারণে তারা প্রায়ই পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তিনি বলেন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেহেতু জঙ্গিবাদ উৎখাতে কাজ করে যাচ্ছে সেহেতু তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও টার্গেট করতে পারে। সব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি।

এদিকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, বাংলাদেশে গত ২ বছরে সহস্রাধিক জঙ্গি ধরা পড়েছে। অধিকাংশ জেলে থাকলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক একটি অংশ জামিনে মুক্তি পেয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়া জঙ্গিরা কোথায় আছে সেটা জানা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে তারা আত্মগোপন অবস্থাতেই পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সুতরাং জঙ্গি হামলার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!