• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সত্যায়িত কপি না পেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের হট্টগোল


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১০, ২০১৮, ০১:৫৮ পিএম
সত্যায়িত কপি না পেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের হট্টগোল

ঢাকা : নির্বাচন কমিশনে আপিল নিষ্পত্তির সত্যায়িত কপি না পেয়ে নির্বাচন ভবনে হট্টগোল করেছেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা। নির্বাচন কমিশনে যাদের আপিল নামঞ্জুর হয়েছে, হাই কোর্টে যেতে চাইলে তাদের ইসির সিদ্ধান্তের সার্টিফায়েড কপি জমা দিতে হবে।

কিন্তু রোববার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সেই কপি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। মনোনয়ন ফিরে না পাওয়া এই প্রার্থিরা দুপুরে নির্বাচন কমিশনে জড়ো হয়ে দ্রুত কপি দেওয়ার জন্য ইসি কর্মকর্তাদের অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু কমিশন তা দিতে না পারায় শুরু হয় বাগবিতøা। গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া ৫৪৩টি আপিল আবেদনের ওপর বৃহস্পতি, শুক্র ও  শনিবার শুনানি হয়।

তিন দিনের শুনানিতে ২৪৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যারা তা পাননি, তারা ভোটে থাকার চেষ্টায় উচ্চ আদালতে ধরনা দিচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে আগ্রহী মো. মোশারফ হোসেনের আপিল আবেদন ইসি বাতিল করে দিয়েছে শুক্রবার। সেই সিদ্ধান্তের সার্টিফায়েড কপির জন্য গত শনিবার রাত ২টা পর্যন্ত নির্বাচন ভবনে অপেক্ষা করেন মোশারফের চাচাতো ভাই রফিকুল হায়দার। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত সেই কপি না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

রফিকুল হায়দার  বলেন, আজকে রায়ের কপি না পেলে আমরা হাই কোর্টে যাব কী করে? আমি ৭ তারিখ আবেদন করেছি, অথচ এখনও কপি পাইনি।
সিলেট-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইসমাইল আলী আসিফের আপিল নামঞ্জুর হয় শনিবকার। গতকাল রোববার সকালে সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করেও বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তা হাতে পাননি তিনি।

আসিফ  বলেন, আমি দলীয় প্রত্যয়নপত্র ভুল করে জমা দিইনি। কিন্তু পরে জমা দিলাম। তারা আর নিল না। আমার আবেদন নামঞ্জুর করেছে। রায়ের কপি পাচ্ছি না বলে হাই কের্টেও যেতে পারছি না। ওখানে তো রায়ের কপি ছাড়া কাজ হবে না। কমিশন এমন করলে আমরা ন্যায়বিচার পাব না।  আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আবদুল্লাহও সার্টিফায়েড কপির জন্য নির্বাচন কমিশনে লোক পাঠিয়েছেন। কিন্তু তিনিও তা পাননি।

আবদুল্লাহর প্রতিনিধি মো. আবু নেছার বলেন, দল থেকে রায়ের কপি চাচ্ছে। কিন্তু কপি তো আমাদের দিচ্ছে না। তাই আবার আসলাম।

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার যাদের আপিল নাকচ হয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র একজনকে গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত সত্যায়িত কপি দিতে পেরেছেন তারা। তবে যাদের আপিল মঞ্জুর হয়েছে, তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গতকাল রোববারই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ফলে আগামি ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন তা গতকাল রোববারই চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!