• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব ও পরিমাণ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২, ২০১৯, ০২:৩২ পিএম
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব ও পরিমাণ

ঢাকা : ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো সেই নির্ধারিত সদকা, যা ঈদের নামাজের আগে প্রদান করতে হয়। একে জাকাতুল ফিতরও বলা হয়। ঈদের দিন সকালবেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তার নিজের ও পরিবারের ছোটবড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব।

এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, আর সর্বোচ্চ জনপ্রতি ফিতরা ১ হাজার ৯৮০ টাকা। গত বছর ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৭০ টাকাই ছিল, তবে সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ৩১০ টাকা।

যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাদের জন্যও ফিতরা আদায় করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। একে অন্যের ফিতরা আদায় করতে পারবেন। সুবিধার জন্য রমজানেও ফিতরা আদায় করা যায়।

যাদের জাকাত দেওয়া যায়, তাদের ফিতরাও দেওয়া যায়। ফিতরা নির্ধারিত খাদ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু কিনেও দেওয়া যায়। পিতা, মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে, মেয়ে ও অধস্তন এবং যার ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে (যেমন স্ত্রী), তাদের ওয়াজিব ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণনা, নবী (সা.)-এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর দিতাম এক সা (সাড়ে তিন কেজি প্রায়) খাদ্যবস্তু। তিনি বলেন, তখন আমাদের খাদ্য ছিল : যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর। (বুখারি, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরো বলেন, আমরা সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম এক সা খাদ্যবস্তু, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ। (বুখারি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২০৫)।

হজরত ইমাম আজম (রহ.)-এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা আদায় করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা আদায় করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম ফিতরা। এ ছাড়া সদকার ক্ষেত্রে সব ফকিহর ঐকমত্য হলো : ‘যা গরিবদের জন্য বেশি উপকারী।’ মুজতাহিদ ফকিহদের মতে, যেখানে যা প্রধান খাদ্য তা দ্বারা আদায় করা শ্রেয়। মুজতাহিদ ইমামগণের মতে, যেসব খাদ্যবস্তু (ক) সহজে সংরক্ষণযোগ্য, (খ) সহজে বিনিময়যোগ্য ও (গ) বাজারমূল্য স্থিতিশীল থাকে; সেসব খাদ্যদ্রব্য দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করা যায়।

উল্লেখ্য, চালের মধ্যে এই তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!