ঢাকা : সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটকের বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ ও জাতীয় জনপঞ্জি বা এনপিআর বিরোধী আন্দোলনে যখন সারাদেশের রাজধানীও উত্তাল, এমন পরিস্থিতিতে দিল্লি পুলিশকে এই বিশেষ ক্ষমতা মঞ্জুর করেন রাজ্যটির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল।
এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-র আওতায় সন্দেহ হওয়া মাত্রই যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। সূত্রগুলো জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে কোনও ব্যক্তি জাতীয় নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ, তবে এই আইনের বলে ওই ব্যক্তিকে প্রতিরোধমূলক আটকের অনুমতি রয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এবার পুলিশের সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ যে কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদনের পর গত ১০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের হাতে এই বিশেষ ক্ষমতা থাকবে।
এদিকে দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে, রুটিন মাফিক এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই বলেও দাবি করেছে তারা।
অন্যদিকে ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম এটিকে ব্রিটিশ সরকারের ‘রাওলাট আইনের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি অগণতান্ত্রিক এবং জনবিরোধী পদক্ষেপ। আর কংগ্রেস নেতা অধীর চোধুরী বলেছেন, সিএএ নিয়ে প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধেই এই দানবীয় পদক্ষেপ।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :