• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্রাট-আরমানের তথ্যে বিব্রত র‌্যাব


আদালত প্রতিবেদক অক্টোবর ২০, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম
সম্রাট-আরমানের তথ্যে বিব্রত র‌্যাব

ঢাকা : যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও আরমানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির নাম জানিয়েছেন তারা। এসব নাম শুনে বিব্রত র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

সম্রাট জানান, সবাইকে ম্যানেজ করেই তিনি রাজত্ব চালিয়েছেন। মাস শেষ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিকে মাসোহারা পাঠানো হতো। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুককেও মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো। দল পরিচালনায় অধিকাংশ খরচেরই জোগান দিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন অনাহারী সহস্রাধিক মানুষকেও খাবার খাইয়েছেন। নিজের জন্য কিছুই রাখেননি। সবই করেছেন অন্যের জন্য।

র‌্যাবের তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে সম্রাটের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের নাম জানিয়েছেন তিনি। তবে তার সে রকম কোনো সম্পদ নেই। বিদেশেও টাকা পাচার করেননি। ক্যাসিনো খেলার নেশা ছিল তার। তাই কিছু টাকা তিনি ক্যাসিনো খেলে হেরেছেন।

সম্রাটের সহযোগী আরমান জানিয়েছেন, ক্যাসিনোর টাকা দিয়ে তারা সিনেমা প্রযোজনায় নেমেছিলেন। ইতোমধ্যে তাদের প্রডাকশন হাউজের কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কয়েকটি সিনেমার শুটিং চলছে। সিনেমা প্রযোজনার কারণে তার সঙ্গে কয়েকজন নায়িকা ও মডেলের পরিচয় হয়। মাঝে মাঝে তাদের নিয়ে সম্রাটের কাকরাইলের অফিসে পার্টি দেওয়া হতো। সেখানে সরকারের বিভিন্ন আমলা, মন্ত্রী-এমপি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকতেন।

রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া র্যাবের অভিযানে আটক হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

এরপর ধরা পড়েন আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। এতে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।

কিন্তু সম্রাট ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযান শুরুর প্রথম তিন দিন দৃশ্যমান ছিলেন তিনি। ফোনও ধরতেন। কয়েক দিন কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়েও অবস্থান করেন সম্রাট। সেখানে অবস্থানকালে শতাধিক যুবক তাকে পাহারা দিয়ে রাখছিলেন। পরে অন্য স্থানে পালিয়ে যান সম্রাট। এরপর তার অবস্থান নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠানো হয়। তার ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, সম্রাটের ব্যাংক হিসাবে কী পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে, তার হিসাব দিতে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!