• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার ৯৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৮, ২০১৯, ০৭:২৫ পিএম
সরকার ৯৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে

ঢাকা : পরিকল্পনামন্ত্রী এমএম মান্নান বলেছেন, ৬ষ্ঠ বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকার দেশে-বিদেশে মিলে ৯৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। এটি কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদেশে প্রেরণসহ নানা ধরনের কর্মসংস্থানের অন্তর্ভুক্ত। টার্গেট ছিল এক কোটি ৪ লাখ। তবে আশা করি ২০২১ সালে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব প্রথম ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সালের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। এটির কার্যক্রম ৯৫ শতাংশ ভালো হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তমবার্ষিকী পরিকল্পনায় এক কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে কাজ করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলনেকন্দ্রে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সামষ্টিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুভাগের উদ্যোগে অন্যান্য সচিবদের সাথে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০১০-২০২১ সাল পর্যন্ত প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছিল। এখন ২০১৯ চলছে ২১ আসতে আরও ২ বছর বাকী। পরিকল্পনা মাফিক কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ করা সম্ভব হয়েছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। এখন দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করবো। সেটি হবে ২০২১-২০৪১ সাল পর্যন্ত।

আর ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি হবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত পরিকল্পনা। কেননা প্রধানমন্ত্রীর টার্গেট হচ্ছে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর একটি।

আমরা ইতিপূর্বে ৪ বছর, ৫ বছর বা ১০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিতাম এখন শতবর্ষের পরিকল্পনাও হাতে নেয়া হচ্ছে। আমরা চিন্তা-চেতনায় উন্নত হচ্ছি বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।

এমএম মান্নান বলেন, ৩২ শতাংশ বিনিয়োগ আমরা পাচ্ছি। তবে এটি আশাজনক নয়। পাবলিক পার্টনারশিপ ভিত্তিতে আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে মিলে ৯৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। যা টার্গেট ছিল এক কোটি ৪ লাখ। তবে আশা করি ২০২১ সালে সেই লক্ষে পৌঁছে যাবো।

মন্ত্রী বলেন, তরুণ আশানুরুপ আউটপুট দিচ্ছে। তাদের জন্য ঋণ পাওয়া সহজ করা হবে।

তা ছাড়া স্থানীয় সরকারে আরও ক্ষমতা প্রদানের বিষয়ে চিন্তা-ভানবা চলছে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে জানানো হয় 'প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০১০-২০২১' এর বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ প্রদান করেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা হবে ২০২১-২০৪১ পর্যন্ত।

দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নে ১৬টি ব্যাকগ্রাউন্ড নির্ধারণ করে স্টাডি করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো ১. সুশাসন, ২. কর্মসংস্থান, ৩. বাণিজ্য ও শিল্প কৌশল, ৪. দেশি ও বৈদেশি বিনিয়োগ, ৫. কৃষি, ৬. শিক্ষা, ৭. আইসিটি, ৮. টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানী কৌশল, ৯. বিশ্ব বাণিজ্য, ১০. নারী ও শিশু উন্নয়ন, ১১. পরিবহন ব্যবস্থা, ১২. জলবায়ু পরিবর্তন, ১৩. নগরায়ন, ১৪. সেবাখাত, ১৫. দারিদ্র নির্মূল ইত্যাদি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!