• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
ঋণের সুদ এক অঙ্কে নামিয়ে আনা

সরকারি আমানতের নিশ্চয়তা চান ব্যাংক এমডিরা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৬, ২০১৮, ০২:০১ পিএম
সরকারি আমানতের নিশ্চয়তা চান ব্যাংক এমডিরা

ঢাকা : ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকারি আমানতের নিশ্চয়তা চান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহীরা। সোমবার (২৫ জুন) বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে তার সহায়তা চান। বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে আলোচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

জানতে চাইলে এবিবি চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পর্ষদের সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত। পহেলা জুলাই থেকে নতুন ঋণের সুদ ৯ শতাংশ হবে। এটি জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের তারল্য জোগান দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাছাড়া সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রচুর টাকা আছে। এ অর্থ বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে আসতে হবে। আর সেটি ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে হতে হবে।  

বৈঠক সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদ এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ঘোষণা বাস্তবায়নে সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে। এর জন্য কিছুটা ছাড় দিতেও প্রস্তুত। এবিবির দাবি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটি নিয়ে গভর্নর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন। প্রয়োজনে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা যায় কি না সেটিও ভেবে দেখা হবে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারবে কি না সেটিও বৈঠকে আলোচিত হয়েছে। তাছাড়া অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করলে অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো যাতে তা আমলে নেয় সে ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দিকনির্দেশনা চাওয়া হয় বৈঠক থেকে।  

এবিবির প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও বেশকিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কিছুটা ছাড় দেওয়া হলেও খুব বেশি আইনি ব্যত্যয় বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কর্মকাণ্ড নজরে রাখবে। প্রয়োজনে তাদের কাছে বিতরণ করা ঋণের হালাগাদ তথ্য চাওয়া হবে।  

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফর্ম উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, এবিবি পহেলা জুলাই থেকে সার্বিকভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে মর্মে আশ্বস্ত করেছে। আমরা বলেছি, ভালো কথা। তবে ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা পরিপালন করতে হবে। ব্যাংককে কোনোভাবে ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না। স্বাভাবিক ঋণ প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে।  

এ ছাড়া ঋণের মান নিশ্চিত করতে হবে। ঋণ-আমানত হার যাতে লঙ্ঘিত না হয় ও আগ্রাসী ব্যাংকিং করে ব্যাংককে যাতে নতুন সঙ্কট তৈরি করা না হয় সেটিও আমরা জানিয়ে দিয়েছি- যোগ করেন এস কে সুর।  

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বৈঠকে এবিবির প্রতিনিধিদের খেলাপি ঋণ আদায়ে মনোযোগ দিতে বলেছে। তাছাড়া সম্পদ দায় ব্যবস্থাপনায় সতর্ক থাকতে বলেছে।  

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, এবিবির সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আনিস এ খান, বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, সদস্য এনআরবি ব্যাংকের এমডি মো. মেহমুদ হুসাইন, ইউসিবিএলের এমডি এ ই এ মুহাইমেন উপস্থিত ছিলেন।   

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!