• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি খাদ্যগুদামে হয়রানীর শিকার কৃষকরা


লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০২:৪৬ পিএম
সরকারি খাদ্যগুদামে হয়রানীর শিকার কৃষকরা

লালমনিরহাট: সরকারি ভাবে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লালমনিরহাটের প্রান্তিক কৃষকরা। প্রতিনিয়ত গুদাম কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতে দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। আর টাকা না দিলে সুকৌশলে খাদ্যগুদামের দায়িত্বে থাকা লোকজনের নিকট বিক্রি করতে আসা ধান নিয়ে নানা হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে এসব কৃষকদের।

জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে  সদর উপজেলার খাদ্যগুদামে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন। প্রতি জন কৃষক ২৬ টাকা দরে ১ মেট্রিক টন ধান বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকদের প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। প্রতি টনে শ্রমিকদের ৫০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি দিতে হচ্ছে। আর কৃষকরা টাকা দিতে না চাইলে বিভিন্ন কৌশলে তাদের ধান ফেরত দিচ্ছেন খাদ্যগুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাদ্যগুদামের ভিতরে ধানের ভ্যানগাড়ী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই খাদ্যগুদামের অফিসাররা কৃষকদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হলে তাদের ধানের নানা রকম সমস্যা দেখিয়ে ফেরত দেয়া হয়।

যার ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে টাকা দেন কৃষকরা। এরপরে খাদ্যগুদামের শ্রমিকরা কৃষকের প্রতি টন ধান ৫০০ টাকার নিচে গুদাম ঘরে ঢুকান না। তাই কৃষকদের সেখানেও দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এছাড়া ধান বিক্রির বিল নিতে গেলে অফিসে কাগজপত্র এবং অফিসারের স্বাক্ষরের জন্য কৃষকদের দিতে হয় ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

ফলে প্রান্তিক কৃষকরা প্রতিনিয়ত সরকারি ভাবে ধান বিক্রির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হয়রানীর শিকার লেবুর হোসেন, হাসান আলী, আতাউর রহমানসহ একাধিক প্রান্তিক কৃষকরা জানান, এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ বা অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ। ফলে কেউ আর অভিযোগ করতে চায় না।

এ বিষয়ে কথা বলতে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে পারবেন না। যা জানার দরকার তা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জেনে নেন।

সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইয়ুব আলী বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে রাজি নন। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন জানান, কৃষককের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। যদি খাদ্যগুদামের দায়িত্বে থাকা কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী কৃষকদের নিকট থেকে টাকা নেন আর তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/এসএ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!