• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঢাকায় মহাসমাবেশের সর্বশেষ খবর


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২০, ২০১৯, ১১:৫৫ এএম
সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঢাকায় মহাসমাবেশের সর্বশেষ খবর

ঢাকা: বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে টানা চার দিন এক ঘণ্টা থেকে পর্যায়ক্রমে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের পর আগামী ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। 

প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন (জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে ও ১০ম গ্রেডে) নির্ধারণের দাবিতে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। 

কর্মবিরতি পালনকালে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে হাজির হয়েও নিয়মিত ক্লাসে অংশ নেননি। সারা দেশের কোথাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো পাঠদান বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। শিক্ষকরা পাঠদানে বিরত ছিলেন। 

প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শিক্ষকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতাদের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নেতারা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। মহাসমাবেশের আগেই তারা উচ্চ-পর্যায়ে একটি বৈঠক করতে চান। মন্ত্রণালয় বা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সাথে বৈঠকে তাদের অনেকেরই অনীহা। কারণ, মন্ত্রণালয় ১০ ও ১২ গ্রেডের প্রস্তাব করেছিল, যার সাথে একমত নন শিক্ষকেরা। তারা প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে বেতন চান।

কর্মবিরতির পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে গতকাল ঢাকায় বৈঠক করেছেন ‘ঐক্য পরিষদ’ নেতারা। বৈঠকে শিক্ষক নেতারা মত দিয়েছেন, আসন্ন সমাপনী পরীক্ষার আগেই সরকার তথা অর্থ মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের দাবিটি মেনে নিলেই সমস্যার সমাধান হবে। শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক সমাজের প্রতি আরো আন্তরিক হয়ে স্বপ্রণোদিত নির্দেশনা দিয়ে দাবিটি মেনে নিলে শিক্ষক সমাজকে উপকৃত হবে। 

একাধিক শিক্ষক নেতা বলেন, তাদের প্রত্যাশা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সারা দেশের শিক্ষকদের সেন্টিমেন্টকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষকদের দাবির সাথে সঙ্গতি রেখেই পুনরায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবে।

বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতা বৈঠকে বলেন, অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আমরা দাবি আদায় করতে চাচ্ছি না। সরকার বা মন্ত্রণালয় আসন্ন সমাপনীর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। সচিব ও মহাপরিচালক দেশে ফেরার পরই শিক্ষকনেতাদের সাথে বৈঠক করে বিষয়টির সুরাহা করবেন। অন্যথায় শিক্ষকরা মহাসমাবেশ করতে বাধ্য হবে। মহাসমাবেশ থেকে যেন অন্য কোনো কর্মসূচি দিতে শিক্ষকেরা বাধ্য না হন, সেটি বিবেচনায় নেবে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্যসচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, প্রধান মুখপাত্র বদরুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!