• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি সেবায় গতি এসেছে আবাসন খাতে


বিশেষ প্রতিনিধি জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০৪:০৬ পিএম
সরকারি সেবায় গতি এসেছে আবাসন খাতে

ঢাকা : গত এক বছরে আবাসন খাতে সরকারি কাজে গতি এসেছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে সেবা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কমেছে নকশা অনুমোদনের সময় ও ধাপ।

গত এক বছরে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তির উন্নয়নসহ উন্নয়নকাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ।  

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরের ৯২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিগত বছরগুলোতে রাজউকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় ভবন নির্মাণ অনুমোদনের জন্য ইতোপূর্বে ১৬টি সংস্থার অনাপত্তি লাগত। তবে এখন সেবা সহজীকরণের জন্য এটি মাত্র ৪টি ধাপে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। সময়সীমা ১৬৫ দিনের পরিবর্তে ৫৩ দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ভবনের নকশা অনুমোদনের সময়সীমা ৪৫ দিনের পরিবর্তে ২০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এতে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি, ব্যয় ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। এটি একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। এ সময় প্রায় ১০৭ একর সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করে সরকারের আওতায় আনা হয়েছে।  

উদ্ধার করা এসব সম্পত্তিকে ঘিরে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠী, বস্তিতে বসবাসকারী ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সারা দেশে প্লট উন্নয়ন ও ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে।  

এছাড়া জনকল্যাণে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় গত এক বছরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ড্রাইভওয়ে নির্মাণ এবং লেক পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৩টি খাল পুনঃখনন ও সম্প্রসারণ কাজ চলমান এবং ২৩টি খাল পুনঃখনন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পূর্বাচলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুই লাখ বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।  

জানতে চাইলে মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিমালা মন্ত্রণালয়সহ এর অধীন অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার সব স্তরে কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তা প্রতিপালনের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য সব স্তরে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতির স্থলে অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।  

তিনি আরো বলেন, রাজউকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় ভবন নির্মাণ সেবা অনুমোদনের জন্য পূর্বে ১৬টি সংস্থার অনাপত্তি গ্রহণ অর্থাৎ ১৬টি ধাপ অতিক্রম করতে হতো। এজন্য বরাদ্দকৃত সময় ছিল ১৬৫ দিন। সেবা সহজ করে ১৬টি ধাপ থেকে ১২টি ধাপ বাদ দিয়ে মাত্র ৪টি ধাপে নামিয়ে আনা হয়েছে।

সময়সীমা ১৬৫ দিনের পরিবর্তে ৫৩ দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ভবনের নকশা অনুমোদনের সময়সীমা ৪৫ দিনের পরিবর্তে ২০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি, ব্যয় ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। এটি একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন।

জানা গেছে, বনানী মডেল টাউনে অগ্নিদুর্ঘটনায় পতিত এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজে ত্রুটি-বিচ্যুতির ঘটনার তদন্তে দায়ী রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন স্তরের ৬২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিন সিটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় ও ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৩০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুটি তদন্ত প্রতিবেদনই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নজিরবিহীন উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।  

জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪টি সেবা যথা- ১. ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, ২. নকশা অনুমোদন, ৩. বৃহৎ ও বিশেষায়িত প্রকল্প অনুমোদন ও ৪. ব্যবহার সনদ সংক্রান্ত সেবা সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এতে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি তারা ঘরে বসে সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৬টি সেবা প্রদান পদ্ধতি সহজ করা ও সেবা প্রদানের সময়সীমা হ্রাস করা হয়েছে। সরকারি বাসা বরাদ্দে স্বচ্ছতা আনয়নকল্পে ৭৬৬টি বাসা অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

আবাসন সমস্যা সমাধানে প্লট উন্নয়ন ও ফ্ল্যাট নির্মাণ : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠী, বস্তিতে বসবাসকারী ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আবাসন সমস্যা সমাধানকল্পে দেশজুড়ে কাজ করছে।

ঢাকার বেইলি রোডে মন্ত্রীদের বাসভবন মিনিস্টার’স অ্যাপার্টমেন্ট-৩ নির্মাণ, ঢাকার ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য ১১৪টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ৬ নং সেকশনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১ হাজার ৬৪টি ফ্ল্যাট, মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬০৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, রাজধানীর লালমাটিয়া নিউ কলোনিতে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১৫৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, ওই কলোনিতে ৭টি জরাজীর্ণ ভবনের স্থলে ১৩০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিকদের পুনর্বাসন ও বিক্রয়ের লক্ষ্যে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, মতিঝিল, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন, মালিবাগ, তেজগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে ১৩টি প্রকল্পের আওতায় ৬ হাজার ৯০৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ চলমান রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ২ হাজার ৮৯৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ২০টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ৩৯৮টি ফ্ল্যাট এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৫১টি পরিত্যক্ত বাড়িতে মোট ১ হাজার ৮২৪টি ফ্ল্যাট ও ৬৪টি ডরমেটরি নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬১১টি প্লট উন্নয়ন ও ২ হাজার ৫৫৯টি ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে এবং ২ হাজার ২০০টি প্লট উন্নয়ন কাজ চলমান এবং ৭ হাজার ২৬১ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ চলছে।

স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যার সমাধানকল্পে উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে ৭৯টি ১৬তলা ভবনে ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করেছেন।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন : ঢাকা ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার খসড়া ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেছে রাজউক। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা শহরের পূর্ব-পশ্চিম বরাবর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ‘মুরাদপুর, ২নং গেট ও জিইসি জংশনে ফ্লাইওভার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। ১৫.২০ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড ও ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ লুপ রোড নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

বর্ষা মৌসুমে বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, বারিধারা ডিওএইচএস, নিকুঞ্জ এবং প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ড্যাপ অনুযায়ী খালের পানিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, জলাবদ্ধতা থেকে আশপাশ এলাকার উন্নয়ন এবং স্বাভাবিক পরিবেশ সংরক্ষণ করা এবং নতুন কালভার্ট ও তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যমান অবকাঠামোর উন্নয়নে কুড়িল থেকে বালুনদী পর্যন্ত ৩০০ ফুট চওড়া কুড়িল-পূর্বাচল সংযোগ সড়কের উভয় পাশে ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন প্রায় শেষ। একই সঙ্গে বোয়ালিয়া খাল এবং ডুমনী খাল আংশিক গভীরতায় খনন করা হয়েছে।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুই লাখ বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণের ফলে প্রকল্প এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পর ঢাকার ধামালকোট মৌজায় ১০ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদপূর্বক ফ্ল্যাট নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণ করা, কুমিল্লা হাউজিং এস্টেট রাস্তার পাশের শূন্য দশমিক ৫ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদপূর্বক রাস্তা নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা, দীর্ঘ ৩০ বছর পর যশোর হাউজিং এস্টেটে রাস্তা, পার্ক, খেলার মাঠ, সবুজ চত্বরসহ ৩২ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদপূর্বক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা, দিনাজপুর হাউজিং এস্টেটে দীর্ঘ ৪০ বছর পর রাস্তা, পার্ক, খেলার মাঠ, সবুজ চত্বর, আবাসিক প্লটের ৩৫ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদপূর্বক উন্নয়নমূলক কাজ করা, রাজধানীর মিরপুরের ৮ নং সেকশনে দুয়ারীপাড়া এলাকায় ক ও খ ব্লকে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ৩০ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে আগে বরাদ্দ পাওয়াদের মধ্যে প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ এবং নোয়াখালীর মাইজদী হাউজিং এস্টেটে প্রায় ১ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে উন্নয়ন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

আমার গ্রাম-আমার শহর বাস্তবায়নে উদ্যোগ : সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগত দূর করার উদ্দেশ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সে আলোকে আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ অনুযায়ী শহরের সব নাগরিক সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

দেশের জেলা শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধার সংস্থান রেখে পরিকল্পিতভাবে আবাসন ব্যবস্থা (প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প) বাস্তবায়ন করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নিজ অর্থায়নে পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আবাসনের জন্য ১৬ দশমিক ৪৫ একর (৫০ বিঘা) জমিতে বিভিন্ন আয়তনের ১৬৮টি প্লট বিশিষ্ট সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!