• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
আজ বিশ্ব এইডস দিবস

সরকারি ১০ হাসপাতালে মিলছে বিনামূল্যে চিকিৎসা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ০৩:৩৬ পিএম
সরকারি ১০ হাসপাতালে মিলছে বিনামূল্যে চিকিৎসা

ঢাকা : বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম। তবে ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডসের ঝুঁকি বিদ্যমান।

এইডস আক্রান্তের হার শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ। তবে এই হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ১০টি সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে এইডস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এমন চিত্রের মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৯’ পালিত হচ্ছে আজ। ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ’ এই স্লোগানে এবার দিনটি পালন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৯’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অদ্যাবধি এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডসের ঝুঁকি বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।

জীবনঘাতী এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার না হলেও বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এইডসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়।

তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে— এ প্রত্যাশা করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান ও এইডস প্রতিরোধে সামাজিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এইচআইভি-এইডস বিষয়ক লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস রোগ নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রতিটি এইচআইভি ও এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করেছি।

ফলে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ১০টি সরকারি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এইডসের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এটি আরো সম্প্রসারিত হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশের নিচে।

এইডস আক্রান্তের এ হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এবং এইডস আক্রান্তদের প্রতি সামাজিক বৈষম্য রোধে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংস্থাকে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য তার বাণীতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!