• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
বিশ্বাসঘাতকতার সুনির্দিষ্ট ৭ অভিযোগ

সরকারের সঙ্গে ফখরুলের আঁতাতের গুঞ্জন


আবু ইউসুফ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০, ০৫:২৫ পিএম
সরকারের সঙ্গে ফখরুলের আঁতাতের গুঞ্জন

ঢাকা : সরকারি টাকায় নিজের চিকিৎসা করেছেন। ছোট ভাই মির্জা ফয়সাল আমিনকে বানিয়েছেন পৌরসভার মেয়র। ছোট ভাইয়ের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে দেন-দরবার করেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

এমনকি দলীয় ফোরামে বলেছেন, দেশে এখন শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। এ রকম সাত অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এই সব অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ দেয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।

খালেদা মির্জা ফখরুলের এই সব কর্মকান্ডে ‘হতবাক’ বলেই জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণেই শেষ পর্যন্ত হয়তো সরে যেতে হচ্ছে ফখরুলকে।

তবে মহাসচিব পদে শেষ পর্যন্ত ফখরুল থাকবেন কি না, এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার সুনির্দিষ্ট ৭টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো-

সরকারি টাকায় চিকিৎসা : মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, গোপনে তিনি তার চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। দুই দফায় মির্জা ফখরুল তার চিকিৎসা বাবদ ৪৮ লাখ টাকা নেন। সরকারি টাকায় তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেন।

এ সময় তার চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ মিশন। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার চিকিৎসার বিল মেটায় বাংলাদেশ মিশন। বিএনপির অনেক নেতার কাছেই এ সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে, বলে জানা গেছে।

ভাইকে পৌরসভার মেয়র বানানো : বিএনপি মহাসচিবের ছোট ভাই ঠাকুরগাও পৌরসভার মেয়র। এটি সরকারের সাথে আঁতাতের ফসল বলেই মনে করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। ঐ মেয়র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে, সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ভাইয়ের জন্য দেন-দরবার তদবির : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ভাইয়ের পৌরসভার বরাদ্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য নিয়মিত টেলিফোন করেন বিভিন্ন মন্ত্রীকে। সরকারের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট : জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ফ্রন্ট বিএনপির আদর্শ পরিপন্থী, বলে মনে করেন বিএনপির অধিকাংশ নেতা। আওয়ামী লীগকে তৃতীয় দফা ক্ষমতায় আনা নিশ্চিত করতেই এই ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল বলে মনে করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

নিজের মামলা নিষ্ক্রিয় করা : সরকারের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমেই মির্জা ফখরুল তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিষ্ক্রিয় করেছেন, বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ২৯টি মামলার একটিও চলমান নেই। যে দলের চেয়ারপারসন ২৫ মাস জেল খাটেন, সেই দলের মহাসচিব কিভাবে মামলা থামিয়ে রাখেন- সে প্রশ্ন বিএনপি নেতৃবৃন্দের।

বিদেশি দূতাবাসে সরকারের প্রশংসা : অন্তত দুটি দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল বর্তমান সরকারের প্রশংসা করেছেন, বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সরকার কিছু ভালো করছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প নেই : দলীয় ফোরামের বৈঠকে একাধিকবার মির্জার ফখরুল বলেছেন, ‘এখন চুড়ান্ত আন্দোলন করে কাকে ক্ষমতায় বসাবেন? এখন শেখ হাসিনার বিকল্প কে আছে দেখান।’

আর এই বক্তব্যকে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল বলেছে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ। আর এই সব কারণেই কে. এম ওবায়দুর রহমান কিংবা আবদুল মান্নান ভুঞার ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে মির্জা ফকরুলকে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!