• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরষের তেলের অনেক গুণ, খাবেন না মাখবেন?


স্বাস্থ্য ডেস্ক জুন ১৮, ২০১৯, ১০:৪০ এএম
সরষের তেলের অনেক গুণ, খাবেন না মাখবেন?

ঢাকা: রান্নাতে তো বটেই, শরীরের হাজারো ব্যাধি সারাতে সরষের তেলের ধারপাশ ঘেঁষতে পারে না আর কেউ। ইলিশ ভাপা থেকে মুড়িমাখা যেমন স্বাদু হয় এই তেলের গুণে তেমনি ত্বক থেকে মাথার চুল অথবা গাঁটের ব্যথা কমাতে সরষের তেল সত্যি-ই এক এবং অদ্বিতীয়। জেনে নিন কী কী উপকার মেলে এই তেল থেকে—

মগজ শানাতে চান? তাহলে আজ থেকে রান্নাটা সরষের তেলেই সারুন। চিকিত্সা বিজ্ঞান বলছে, এই তেল মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে অবসাদ কাটাতে, স্মৃতিশক্তি আর মন:সংযোগ বাড়াতে এই তেল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আজ থেকে তাই রান্নায় মাস্টার্ড তেল মাস্ট।

কিছুতেই খিদে বাড়ছে না? আর তার জন্য আপনার বাচ্চা রোগা হয়ে যাচ্ছে? প্রাকৃতিক উদ্দীপক হওয়ায় এই তেল রান্নায় ছড়িয়ে খেলে খিদে বাড়বে। হজম হবে তাড়াতাড়ি। বাচ্চা থেকে বড় তাই চোখ বুজে আজ থেকে সরষের তেলের স্মরণ নিন।

৩০ পেরলেই হাড়-এ ক্ষয়। ফর্টি প্লাস প্লাস হলেই গাঁট-হাত-পা জুড়ে আরথ্রাইটিস-এর ভয়ানক ব্যথা। আর শীত পড়লে তো কথাই নেই। এ ব্যথা কি যে ব্যথা, বোঝেন শুধু সেই জন যিনি ভুক্তভুগী। ব্যথার চোটে অনেকেরই হাঁটা-চলা বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। সরষের তেলের মালিশ কিন্তু এই সমস্যাও কমাতে পারে। রোজ অস্থিসন্ধি আর আরথ্রাইটিস-এ আক্রান্ত অঙ্গে ঈষদুষ্ণ সরষের তেল মালিশ করুন ভালো করে। তারপর রোদে বসুন। অনেক আরাম পাবেন। পেশি সচল হবে।

বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা জানিয়েছে, ক্যানসার প্রতিরোধের অনেক গুণ সরষের তেলে রয়েছে। এই তেলে থাকা লিনলেনিক অ্যাসিড ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিণত হলে তা স্টমাক আর কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আচমকা চোট পেয়ে হাত-পায়ের পেশি অবশ হয়ে গেছে? সরষের তেল হালকা গরম করে ব্যথার উপর মালিশ করুন।  

সরষের তেলে প্রচুর পরিমাণে মোনো-স্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি ও সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই রান্নায় রোজ সরষের তেল খেলে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। এছাড়াও, সরষের তেল শরীরের খারাপ কোলেস্টরেল-এর পরিমাণ কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে হার্ট ভালো থাকে। চট করে হার্টের অসুখে ভোগার সম্ভাবনাও কমে যায়।

শীত আর সরষের তেলের সম্পর্ক চিরকালের। ভাবছেন, একথার মানে কি? শীত পড়লেই সবাই অল্প-বিস্তর সর্দি-কাশিতে ভোগেন। অনেকের বুকে সর্দি বসে যায়। আরাম পেতে সরষের তেলে রসুন থেঁতো করে ফুটিয়ে নিন| ঈষদুষ্ণ অবস্থায় বুকে-পিঠে মালিশ করুন। তারপর ভারী জামা পরে গা ঢেকে নিন। রোজ রাতে শোয়ার সময় এই টোটকা ব্যবহার করলে বুকে জমা কফ উঠে আসবে। একই ভাবে গলায় সরষের তেল মালিশ করলে কাশি-টনসিল-এর ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

যাদের সাইনাস আছে তারাও সরষের তেলের সাহায্যে আরাম পেতে পারেন। ফুটন্ত জলে কয়েক চামচ সরষের তেল দিয়ে নিন। এবার তোয়ালে বা গামছ দিয়ে মাথা-মুখ ঢেকে ভেপার নিন। তেলের ঝাঁঝে সর্দি পাতলা হয়ে বেরিয়ে আসবে সাইনাস কমবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এসআই

Wordbridge School
Link copied!