• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
কৃষকরা কৃষি ঋণ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ব্যহত হচ্ছে চাষাবাদ

সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম
সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ঢাকা : চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল । মেঘনা,পদ্মা, মেঘনা, ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হচ্ছে।

চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন এর পরেই সরিষার স্থান। এ বছর চাঁদপুরে ৫ হাজার মে. টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে। আশার চেয়ে ভালো ফলন উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করছে।

বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলিতে ব্যাপক সরিষা উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দুঃখের বিষয়-নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।

চরাঞ্চলগুলি হলো মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লক্ষ্মীমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৪শ’৪৫ হেক্টর জমিতে।

এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ হয়েছে ৭শ’ ’শ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৮শ’ ৬৬ মে. টন, মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৮শ’২০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১হাজার ৯ শ’১২ মে. টন, মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ হয়েছে ৬শ’ ৭’শ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৭ শ’ ৪৩ মে. টন, হাজীগঞ্জে চাষাবাদ হয়েছে ৪শ’ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩ শ’৫৪ মে. টন, শাহরাস্তিতে চাষাবাদ হয়েছে ২শ’ ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১ শ’৯৫ মে. টন, কচুয়ায় চাষাবাদ হয়েছে ৬শ’ ৭২ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৭শ’২১ মে. টন, ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ হয়েছে ৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৭০ মে. টন এবং হাইমচরে চাষাবাদ হয়েছে ৮৮ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১ শ’৪ মে.টন।

চাঁদপুরের লক্ষ্মীমারা চরে কৃষক হুমায়ুন জানান, আমরা ব্যাংকে ঋণের জন্য গেলে ব্যাংকে শুধু এটা ওটা চাই। বিভিন্ন জামেলা করে। ঋণ দেয়ার পরেও তারা হাতে কেটে ২০/৩০ টাকা রেখে দেয়।

জেলার সবচেয়ে বেশী সরিষা উৎপাদন হয় মতলব উত্তরে। সেখানে কৃষকের সাথে কথা বলে জানাযায়, কৃষি অফিস বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। তাদের সহযোগিতায় মতলব উত্তরে সরিষার বাম্পার ফলন হচ্ছে।

কৃষক জমিউল বলেন, আগামীতে সরিষার সাথে মধু পাওয়ার চেষ্টা করবো। আমি ট্রেনিং নিয়েছে। যদি চরের সবাই এক হয়ে সরিষা চাষ করে তাহলে মধু পাওয়া সম্ভব।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মনি সূত্রধর জানান, হাজীগঞ্জে এ বছর ৪’শ হেক্টরের মতো জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদন ভালো হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আবদুর রশিদ জানান, জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। যা আশ করেছিলাম তার চেয়ে ভালো ফলন হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!