• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সর্বকালের সর্বোচ্চ চাল মজুদ রয়েছে, দাম আর বাড়বে না


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম
সর্বকালের সর্বোচ্চ চাল মজুদ রয়েছে, দাম আর বাড়বে না

ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে চালের দাম আর বাড়বে না। এ ব্যাপারে চালকল মলিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বলেও তিনি জানান।

রোববার (১৭ নভেম্বর) খাদ্যভবনে চালকল মালিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। 

খাদ্যভবনে এ বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালর দাম কোনোক্রমে যাতে না বাড়ে সেজন্য মিল মালিকদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রত্যাশা করছি চালের দাম আর বাড়বে না। যেহেতু আমাদের ধান উৎপাদন ভালো হয়েছে। সর্বকালের সর্বোচ্চ চাল মজুদ রয়েছে।

তিনি বলেন, চালের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সর্বকালের সর্বোচ্চ চাল মজুদ রয়েছে। আমরা ৬ লাখ মেট্রিকটন চাল কৃষকের কাছ থেকে কিনছি। কৃষক যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালে মান যাতে খারাপ না হয় সে ব্যাপারেও বলা হয়েছে। সেটা হলে গ্রহণ করা হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ বাজারে সরু চালের কেজি ৫১ টাকা ১১ পয়সা। যখন ধানের দাম কম ছিল আমরা তখন কৃষকের কাছ থেকে বেশি দামে ধান কিনেছি। মৌসুমের সময় ধানের দাম ছিল ৫/৭শ টাকা মণ। এখন দাম বেড়ে ১ হাজার/১১শ টাকা হয়েছে। মোটা চাল খাওয়া মানুষ ভুলে গেছে। এ কারণে চিকন চালের ওপর চাপ পড়েছে। যার কারণে হয়তো দাম কিছুটা বেড়েছে।’ 

এ সময় মন্ত্রী বলেন, এখন দিনমজুরও সরু চাল খায়। এখন আমাদের সরু ধান উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষকের দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে তারা দাম পায়। আমন মৌসুমে খাদ্যমন্ত্রণালয় ধান কেনে না। কিন্তু এবার আমরা কিনছি। সরকার টিআর, কাবিখা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সেনাবাহিনী, বিপিপি, পুলিশের জন্য ধান কেনে। মোট উৎপাদনের শুধু ৭ শতাংশ সরকার কেনে।

বৈঠকে অটোরাইচ মিল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম খুরশিদ আলম খান বলেন, চালের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বৈঠকে মন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের চালের কোনো অসুবিধা নেই, সংকট নেই। চাল যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। তবে আমরা কিছু দাবি-দাওয়ার কথা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। যে সড়ক আইন হয়েছে এটা কার্যকর হলে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে ধান-চাল সরবরাহে সমস্যা হতে পারে। এতে প্রভাব পড়তে পারে চালের দামের ওপর।

তিনি আরো বলেন, ‘এই আইন যাতে এক দু’মাস পর কার্যকর করা হয় সে অনুরোধ করেছি। আর ব্যাংকঋণের সুদ যাতে ২ থেকে ৩ শতাংশ এবং বিদ্যুতের ইউনিট ২ থেকে ৩ টাকা করা হয় এ দাবি জানিয়েছি। এগুলো সমাধান না হলে এবং রাইচ মিলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে চালের বাজার বিদেশের হাতে চলে যাবে। আমরা এরকম ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।’

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!