• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সশস্ত্র বাহিনীর টুকিটাকি


নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৬:৪২ পিএম
সশস্ত্র বাহিনীর টুকিটাকি

ঢাকা : স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অংশ নিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তারা। এর বাইরে জাতীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসেন সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা।

স্থিরচিত্রে তাদের কিছু কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।

এর সঙ্গে তিন বাহিনীর মৌলিক কর্মকাণ্ডসহ খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে পৃষ্ঠাটি সাজানো হয়েছে-

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী : ‘সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে’- এ মূলমন্ত্র ধারণ করে পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি সেনাবাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব পরিমণ্ডলে একটি পরিচিত ও গর্বিত নাম। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সেনাসদস্যদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আজ দেশের তথা জাতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠতে সমর্থ হয়েছে।

পররাষ্ট্রনীতির আলোকে সেনাবাহিনী বন্ধুপ্রতিম সকল দেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামরিক কূটনীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

সামরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ যে কোনো অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সকল ক্ষেত্রে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী : ‘শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়’- এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তদানীন্তন পাকিস্তান নৌবাহিনীর বাঙালি কর্মকর্তা ও নাবিকরা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

স্বাধীনতা লাভের পর ১৭ জন কর্মকর্তা, ৪১৭ জন নৌ সেনা এবং দুটি গানবোট ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’ নিয়ে নৌবাহিনী পথচলা শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় প্রায় ৮০টি যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

নৌবাহিনী দেশগঠন ও অখণ্ডতা রক্ষা বিশেষ করে সমুদ্রসীমা এবং এ এলাকায় অবস্থিত সকল বন্দর ও স্থাপনার নিরাপত্তায় সর্বদা নিয়োজিত। আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাংলাদেশের অধিকার সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

যুদ্ধকালীন সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, অপারেশন পরিচালন করা, সমুদ্রে টহল দেওয়াসহ নানাবিধ দায়িত্ব রয়েছে এ বাহিনীর ওপর। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অংশগ্রহণ করছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী : দেশের আকাশসীমা রক্ষার অতন্দ্রপ্রহরী বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও দিক-নির্দেশনায় বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নে প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ফোর্সেস গোল-২০৩০কে সামনে রেখে বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহূত প্রযুক্তির উৎকর্ষের জন্য যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বিমান, রাডার এবং আধুনিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি।

বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত-বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এ স্লোগানের মর্মবাণীকে বাস্তবে রূপদান করার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে নানাবিধ উদ্যোগ। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করার জন্য বিমানবাহিনীর সদস্যরা নিজেদের প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন। এর সঙ্গে শান্তিমিশনে অংশ নিয়ে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!