• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সহকারী জজ উমা রানির ছবিটায় বুক ভেঙে যাচ্ছে মানুষের


সোনালীনিউজ ডেস্ক জুন ১০, ২০২০, ০৭:৩৬ পিএম
সহকারী জজ উমা রানির ছবিটায় বুক ভেঙে যাচ্ছে মানুষের

করোনার উপসর্গ নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর এসকে হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে ড. দেবাশীষ দাস (৫২) এক গার্মেন্টস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী উমা রানি দাস ময়মনসিংহের সহকারী জেলা ও দায়রা জজ। ড. দেবাশীষ ঢাকার ফকিরা গ্রুপের গার্মেন্টস বিভাগের এইচআর বিভাগের প্রধান ছিলেন। তার বাড়ি সাভারের শিমুলিয়ায়। মৃত্যুর পর দেবাশীষের পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

স্বামীর মৃত্যুর পর বেশ ভালো বেকায়দায় পড়েন উমা রানি। শশ্মানে তাঁকে শেষকৃত্য করার মতো পরিবার কিংবা নিকটজন কেউ আসেনি! সৎকারে নিতে হয়েছে মুসলামান ভাইদের সাহায্য। সৎকার করতে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন সমাজকর্মী ইউছুফ আলীসহ কয়েকজন সমাজকর্মী। উমা দাস এবং দেবাশীষ দাসের একটি মাত্র সন্তান, সেই পুত্রের হাতের ছোঁয়া কাঠি এনেছেন উমা রানি দাস। নিজেই তাঁর স্বামীর গোসলসহ মুখাগ্নি করলেন!

উমা রানি দাসের স্বামীর মুখাগ্নি করার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এমন মর্মস্পর্শী ছবি ছড়িয়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সকলেই সমবেদনা জানাচ্ছে। বলছেন, 'করোনা আমাদের অমানবিক করে দিয়ে গেল।'  দেবাশীষের শেষযাত্রায় এমন অমানবিক হতে হবে, কাউকে সাথে পাওয়া যাবে না, এমন দৃশ্যগুলো যে শুধু উমা রানি দাসের সাথেই ঘটছে তা নয়। এমন কিছু ঘটনা ঘটছে সত্যিই মর্মান্তিক বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। উমার এই ছবি যতই ছড়াচ্ছে ততই বুক ভেঙে যাচ্ছে মানুষের। একা একজন স্বামীর সৎকারের দায়িত্ব তুলে নেন, অথচ এমনটি কখনোই হবার কথা ছিল না। 

শ্মশানে পুড়ছে স্বামীর লাশ! চিৎকার করে বলছেন উমা দাস, 'এখনো যে স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের সার্টিফিকেট নিলাম না অথচ তার আগেই তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট নিতে হবে আমাকে! আমার সন্তান ওর বাবাকে খুঁজলে আমি কি জবাব দিব? কেন সে আমাকে একা ফেলে চলে গেল?'

উমা রানি দাসের কান্নায় শ্মশানের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আসে। উমার এই ছবি ও ঘটনা শেয়ার করে নেটিজেনরা বলছেন, ছবিটা কষ্টে বুক ভেঙে দিচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!