• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ

সহকারী শিক্ষককে গাছে বেঁধে রাখলেন প্রধান শিক্ষক


চাঁদপুর প্রতিনিধি আগস্ট ১১, ২০২০, ০৩:০২ পিএম
সহকারী শিক্ষককে গাছে বেঁধে রাখলেন প্রধান শিক্ষক

চাঁদপুর: ছোটভাই স্কুলশিক্ষককে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে আলোচনায় ফিরেছেন বড়ভাই আরেক শিক্ষক। এনিয়ে ঘটনার ছোটভাই মকবুল হোসেন রুবেল তার বড়ভাই মফিজুর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পৈতৃক জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে চাঁদপুরে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নে।

জমিসংক্রান্ত বিরোধে ভাইদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন ছোটভাই মকবুল হোসেন রুবেল। এসময় বড়ভাই চরভৈরবী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বাবুল তার ছোটভাই চরবগুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মকবুল হোসেন রুবেলকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। গত রবিবার সকালে এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তর চরবগুলা মৃত নোয়ার আলী সর্দারে ৬ সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। পৈতৃক জমিজমা ভাগাভাগি না হওয়ায় ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর মধ্যে অন্য ভাইয়েরা একত্রিত হয়ে তাদের ছোটভাই মকবুল হোসেন রুবেলের ওপর প্রায়ই চড়াও হন।

ঘটনার দিন তাদের আরেক বড়ভাই সফিকুর রহমানের নির্দেশে মফিজুর রহমান বাবুল কয়েক সহযোগী নিয়ে ছোটভাই মকবুল হোসেন রুবেলকে বেধড়ক পিটুনি দেন। একপর্যায়ে ছোটভাইকে বাড়ির আঙিনায় একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। ঘটনাটি আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে অনেকেই ছুটে যান। এসময় কেউ নির্যাতনের শিকার রুবেলকে উদ্ধার করেন। আবার কেউ কেউ ঘটনার দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।  

ঘটনার শিকার মকবুল হোসেন রুবেল জানান, তার অন্য ভাইয়েরা পৈতৃক জমিজমা থেকে বঞ্চিত করেছে। এনিয়ে কিছু বললেই তারা সংগঠিত হয়ে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করে। তবে ঘটনার কথা স্বীকার করে বড়ভাই মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, তার ছোটভাইয়ের মানসিক সমস্যা আছে। তাই সংশোধন হতে মাঝেমধ্যে তাকে শায়েস্তা করতে হয়। 

এদিকে, নির্যাতনের ঘটনার শিকার মকবুল হোসেন রুবেল তার ভাইদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ঘটনাস্থল চাঁদপুরের হাইমচরের বাইরে হওয়ায় তা পাশের লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানায় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, হাইমচরের চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহমেদ আলী মাস্টার জানিয়েছেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আগামী ২-১ দিনের মধ্যে সালিস-বৈঠক করবেন। 

মকবুল হোসেন রুবেলের স্ত্রী রিমা আক্তার বলেছেন, স্বামীকে অন্যায়ভাবে তার চোখের সামনে নির্যাতন করা হয়েছে। ফের যেন এমন অমানবিক ঘটনা আর না ঘটে এজন্য নিরাপত্তা এবং ন্যায্য অধিকার চান তিনি। তাই তিনি সমাজপতি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন। 

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!