• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিক পরিবারের ওপর মাদক কারবারীদের হামলা


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০১:০৭ পিএম
সাংবাদিক পরিবারের ওপর মাদক কারবারীদের হামলা

মুন্সীগঞ্জ : মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি গুলজার হোসেন ও তার স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সন্ত্রাসী রাতুল প্রধান ও তার ভাই রাজীব প্রধান দলবল নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলজার ও তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগম আহত হয়। 

‌স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাংবাদিক গুলজার অত্র এলাকায় সমাজ সেবক সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত। তাই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পঞ্চয়াত কমিটির পুরোনো সদস্যরা তাকে ওই কমিটির নতুন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন। গুলজার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেন এবং বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় ওই কুচক্রি মহল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানির মূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে।

ঘটনার সূত্রপার, শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর ইসলামপুরে সামাজিক নাট্য সংঘঠন 'কিশোর বাংলার' আয়োজনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। এই অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্য অতিথির পাশাপাশি সাংবাদিক গোলজারকে অতিথি হিসেবে রাখা হয়। আর তাই অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ও সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রাতুল তার বাহিনী নিয়ে হাজির হন এবং বলেন- আমার বাবা ফজর ব্যাপারিকে অতিথি না করে, কেন? সাংবাদিককে অতিথি করা হয়েছে। এনিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ওরা। একপর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হলে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে গুলজার ওই স্থান থেকে বাড়ি ফেরার পথ দ্বিতীয় বার হামলার স্বীকার হল। মারধরের খবর পেয়ে গোলজারের স্ত্রী স্বামীকে রক্ষা করতে আসলে তাকেও মারধর করে রাতুল।

‌স্থানীয় দোকানদার আব্দুল হালিম বলেন, রাজীব-রাতুলদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারেনা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা অতিষ্ঠ। 

মরিয়ম আক্তার মিতু বলেন, এলাকায় প্রভাব খাটয়ে অবনিলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে রাতুল, রাজীব ও তাঁর দলবল। অথচ প্রতিবাদ করতে গেলেই খেতে হয় মার।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, তারা থানায় অভিযোগ করতে এলে জাতীয় শ্রমিক লীগ শিল্পায়ন শাখা মুন্সীগঞ্জের সভাপতি মোঃ আবুল কাসেম, মাদক বিক্রেতা সন্ত্রাসী রাতুল ও রাজীবের পক্ষ নিয়ে থানা এসে অভিযোগ প্রধানে বাধাগ্রস্ত করে।

এবিষয়ে কাশেমের কাছে থেকে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এবং বলেন- সাংবাদিকরা কি করবে, আমি দাদার লোক। 

মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জাম জানানা, ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সাংবাদিক পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। রাতুল ও রাজীবকে আটক করে থানায় আনা হয়। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএএস/এএস

Wordbridge School
Link copied!