• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘সাকিব-তামিম দলে থাকা বিরাট অ্যাডভান্টেজ’


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৮, ২০১৮, ০৮:২৯ পিএম
‘সাকিব-তামিম দলে থাকা বিরাট অ্যাডভান্টেজ’

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও দেশসেরা তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণভোমরা। দলের দু:সময়ে চীনের প্রাচীরের মতো দেয়াল হয়ে দাঁড়ান এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। চোটের কারণে এশিয়া কাপের সব ম্যাচ খেলতে পারেননি, এমনকি ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে সিরিজে সাকিব ফিরলেও ফেরা হয়নি তামিমের। তবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই ‘রাজা-বাদশা’। তাদের দলে থাকাটাই লাল সবুজের দলের জন্য বিরাট অ্যাডভান্টেজ বলে মনে করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগে শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘অবশ্যই সাকিব-তামিম দলে থাকা আমাদের জন্য বিরাট অ্যাডভান্টেজ। প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম দারুণ খেলেছে, এটা তামিমের জন্য স্বস্তি, আমাদের জন্যও স্বস্তি। আমি একই সঙ্গে বলব যে ইনজুরি থেকে আসা এবং এসে পারফর্ম করা কিন্তু সময়ের ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘তামিমের আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছে বলে প্রত্যাশা করতে পারেন না যে, পরের ম্যাচে নেমেও এক্সট্রা অর্ডিনারি ইনিংস খেলবে সে। আবার এর থেকে বেটার খেলতে পারে, খারাপও হতে পারে। চোট থেকে ফিরলে কিন্তু বেশ কিছু দিন লাগে মানিয়ে নিতে। দুইমাস থেকে আড়াই মাস পর্যন্ত বাইরে ছিল। সাকিব দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলে কিছুটা মানিয়ে নিয়েছে। তামিমের হয়ত কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু ওরা দুইজন থাকা আমাদের দল তথা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যাপার।’

চলতি বছর দু’টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় করে টাইগাররা। তবে বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও এশিয়া কাপে ব্যর্থ হয় তারা। তারপরও বছরের শেষটা ভালোভাবে করতে চান মাশরাফি, ‘এই বছরে আমাদের পারসেন্টেজ অনেক ভালো, স্রেফ দুইটা ফাইনাল বাদ দিলে। অবশ্যই এখানে একটা ফাইনাল জিততে পারলে ভালো হত, বিশেষভাবে এশিয়া কাপ ফাইনাল। এছাড়া আমার কাছে মনে হয় এই বছর রেটিং খুব ভালো আছে। ভালোভাবে শেষ করতে পারলে অবশ্যই খুব ভালো হবে। বিশেষ করে সামনের বছর শুরু থেকে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। শেষটা ভালো করলে এই বছরটা খুব ভালো যাবে।’

বছরের শেষটা ভালো করতে হলে ক্রিকেটের তিন বিভাগেই ভালো পারফরমেন্স চার মাশরাফি, ‘সব ডিপারটমেন্ট ভালো করলে আমাদের চান্স থাকে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে, এ উইকেট কেমন আচরণ করবে সেটার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে। যদি ব্যাটিংয়ে হেল্প করে তাহলে বোলারদের চ্যালেঞ্জ থাকবে। আসলে উইকেট বিচার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু মিরপুরে দু’টি ম্যাচ খেলা, উইকেট কেমন ব্যবহার করবে সেই ইনিশিয়াল জাজমেন্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

দল নির্বাচন নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের ১৬ জনের যে স্কোয়াড আছে, আপনি যদি ওইভাবে দেখেন যে নরমালি হোমে সাধারণত ১৪ জন রাখা হয়। বা মেক্সিমাম ১৫ জন রাখা হয়। সেখানে ১৬ জন রাখার কারণ যাতে তাদের কনফিডেন্স ডাউন না হয়, মনিটরিং করা। এই জায়গায় এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে কজন রিসেন্টলি ভাল খেলেছে বা খেলছে তাদেরকে রাখা। আর আপনি যেটা বললেন ভাল (মধুর) সমস্যা হলো সবাই ফর্মে আছে টপ অর্ডারে। যেটা আমরা অনেক দিন থেকে চাচ্ছিলাম। একটা সিদ্ধান্তে যেতেই হবে। ভাল হলে মনে হবে এটাই ঠিক আছে। খারাপ হলে মনে হবে যে রান করেও বাদ গেছে হয়ত ওকেই খেলালে ভাল হত। কথাবার্তা অনেক চলবে। এখনো অনেকের চিন্তা-ভাবনা আছে। কোচ, নির্বাচকদের সঙ্গে আলাপ করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সিরিজের প্রথম ম্যাচটি দিবা-রাত্রির। তাই শিশির বড় ফ্যাক্টর বড় ইস্যু হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের দুইজন স্পিনার আছে যারা ব্যাটিং করতে পারে। এটা অনেক বড় সুবিধা। এক্ষেত্রে সরাসরি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এই সময় আমরা গত বছর বিপিএল খেলেছি। রাতের ম্যাচে ডিউ মিরপুরের খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। তবে কোন কোন ম্যাচে করেছে। আমাদের যেটা হয় কোনদিন হেভি ডিউ হয়, আবার কোনদিন কম হয়। আমরা ব্যাটিং করলাম, হেভি ডিউ হলে কঠিন হয়ে যাবে। আবার কম ডিউ হলে ম্যানেজেবল করা যাবে। আমি মনে করি আগে ব্যাটিং করাটাই ভাল হবে। আজকের ডিউটা কেমন থাকে, ফিল্ডিংয়ের সময় কিছুটা জাজ করতে পারবো। কালকে কি অবস্থা হবে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। সিদ্ধান্ত আসলে ইতিবাচক হওয়াটাই বেটার।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!