• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাধারণের সম্পৃক্ততায় আন্দোলন


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯, ১২:৫৯ পিএম
সাধারণের সম্পৃক্ততায় আন্দোলন

ঢাকা : ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ’-এর রাজপথ না ছাড়ার শপথ থেকে কিছু কর্মসূচি এলো। তার মধ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট। ওই ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বিরাট বিরাট মিছিল, দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হচ্ছে— রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।

প্রধানমন্ত্রী নাজিমউদ্দিনের ব্যঙ্গচিত্র দেয়ালে সাঁটা হচ্ছে। ঢাকার মানুষ তখনই সত্যিকার অর্থে ভাষা নিয়ে আন্দোলনের আসল রূপটা দেখতে পায়। আর ওই সময়ের কর্মসূচি সাধারণ মানুষকেও আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তোলে। মাতৃভাষা রক্ষার এই আন্দোলন ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের মাঠে গড়াল।

এ দিন বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা মিছিলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীউল হক। সভা শেষে প্রায় ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী মিছিল করতে করতে শহর প্রদক্ষিণ করে। বিকালে সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদের উদ্যোগে জনসভা হয়। এই সভা বাংলাভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম সংগ্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।

এ দিনই ২১ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘটের ঘোষণা আসে। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে মেনে নেওয়ার দাবিতে পুরো পূর্বপাকিস্তানে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

সে ঘোষণায় এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত বাঙালিরা থামবে না। বাংলার সঙ্গে বাঙালির যে হাজার বছরের সম্পর্ক, তা বিচ্ছিন্ন করাও সম্ভব না। এটা পূর্বপাকিস্তানের প্রায় সবাই বুঝলেও, ঠাওর করতে পারল না শাসকগোষ্ঠী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!