• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী বগুড়ার মহাস্থানগড়


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৪, ২০১৬, ০৭:৩৯ পিএম
সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী বগুড়ার মহাস্থানগড়

ঢাকা : উত্তরাঞ্চলের ঐতিহাসিক প্রাচীর নগরী বর্তমান মহাস্থানগড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দিয়েছে সার্ক কালচারাল সেন্টার। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সেন্টারের ঢাকায় সফররত পরিচালক ওয়াসান্থে কোতোয়ালার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ ঘোষণা চূড়ান্ত করে। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হবে।

সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে প্রাচীর নগরী মহাস্থানগড়ের নাম যে ঘোষণা দেয়া হবে, তা গত বছরই জানানো হয়েছিল। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি মহাস্থানগড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ অঞ্চলের প্রাচীন ঐতিহ্যের গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে মহাস্থানগড়ে মানববসতির চিহ্ন পাওয়া যায়। তিনি বলেন, দেরিতে হলেও মহাস্থানগড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে বেছে নেয়ার ঘোষণা সঠিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত।

সুফি মোস্তাফিজ আরো বলেন, কেবল ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, এই ঐতিহাসিক প্রাচীর নগরীকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নির্দশন হিসেবে সংরক্ষণ করতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের রাজধানী মহাস্থানগড়ের নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গেছে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মহাস্থানগড়। বাংলাদেশে যতগুলো প্রাচীন পুরাকীর্তি আছে এরমধ্যে মহাস্থানগড় একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।

২০১৫ সাল থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কোনো একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলকে সার্কের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে আসছে সার্ক কালচারাল সেন্টার। সার্কভুক্ত দেশগুলোর ইংরেজি নামের আদ্যক্ষরের ভিত্তিতে দেশগুলোর স্থান বেছে নেয়া হচ্ছে। এ জন্য গত বছর আফগানিস্তানের বামিয়ানকে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

১৮৭৯ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম সর্বপ্রথম প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন। ধারণা করা হয়, এই রাজ্যের রাজধানী বর্তমানের রাজশাহী, দিনাজপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!