• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘সাহায্য বন্ধ করলে দুই সপ্তাহও টিকবে না সৌদি রাজতন্ত্র’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ৩, ২০১৮, ০৬:৫৩ পিএম
‘সাহায্য বন্ধ করলে দুই সপ্তাহও টিকবে না সৌদি রাজতন্ত্র’

ফাইল ফটো

ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক সহয়তা না দেয় তাহলে দুই সপ্তাও টিকবে না সৌদি আরবের রাজতন্ত্র।

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রাতে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের সাউথাভ্যানে একটি সমাবেশে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে পারস্য ‍উপসাগরীয় দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্প বলেন, আমরা সৌদি আরবকে রক্ষা করছি। আমি সৌদি বাদশাহকে ভালোবাসি, বাদশাহ সালমানকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি বলি, বাদশাহ, আমরা আপনাকে রক্ষা করছি, আমাদের ছাড়া আপনি দুই সপ্তাহও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনাকে এজন্য সেনাবাহিনীর খরচ বহন করতে হবে।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কবে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে এ ধরনের কূটনীতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ভাষায় কথা বলেছেন সেটি উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু শনিবার রাতে বৈশ্বিক তেলের সরবরাহ নিয়ে সৌদি বাদশাহ’র সঙ্গে ফোনালাপ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ধারণা করা হচ্ছে, তখনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি বাদশাহ’র সঙ্গে এমন কূটনীতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ভাষায় কথা বলেছেন।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলার হয়ে গেছে। তাই বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবকে আরও তেল উৎপাদনের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সৌদি মালিকানাধীন আল আরাবিয়া টিভি জানিয়েছে, উভয় নেতা শনিবার তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ও বাদশাহ সালমান ‘আঞ্চলিক উদ্বেগপূর্ণ ইস্যু’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ট্রাম্প এর আগে বহুবার মার্কিন সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তা নিয়ে অহংকার এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সৌদি আরবের ‘রক্ষাকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পারস্য উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে তাদের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ঘাঁটি নেই। কাতারে আল উদেইদ বিমানঘাঁটি ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম বহর রয়েছে। এছাড়া কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, জর্দান ও ওমানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যেকোনও সময় সৌদির সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে।

এদিকে নিরাপত্তা দেয়ার বিনিময়ে সৌদি আরবের কাছ থেকে এখনও অর্থ দাবি করেননি ট্রাম্প। তবে গেল সপ্তাহে নিরাপত্তার বিনিময়ে তেলের মূল্য কমাতে সৌদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমরা ওই অঞ্চলের অনেক দেশকেই কোনও অর্থ ছাড়াই রক্ষা করে থাকি এবং তারা তেলের দাম বাড়িয়ে আমাদের সুযোগ নিয়ে থাকে। এটা ভালো না। আমরা চাই তারা তেলের দাম বাড়ানো বন্ধ করুক, তারা তেলের দাম কমানো শুরু করুক।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সখ্যতা গাঢ় হয়েছে। কিন্তু তার এ ধরনের মন্তব্য ১৯৩০-র দশক থেকে সৌদি আরবে ক্ষমতায় থাকা রাজপরিবারের স্থিতিশীলতা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!