• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিনহার মৃত্যুর দিন এসআই লিয়াকতের সঙ্গে কথা হয়েছিল কোবরার


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৯, ২০২০, ০৫:৫৯ পিএম
সিনহার মৃত্যুর দিন এসআই লিয়াকতের সঙ্গে কথা হয়েছিল কোবরার

অভিনেতা ইলিয়াস কোবরা, এসআই লিয়াকত ও নিহত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

ঢাকা : গুলিতে মৃত্যুর আগে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা বেশ কয়েক ঘণ্টা ছিলেন অভিনেতা ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।

তবে ইয়াবার মত নিষিদ্ধ মাদক বাণিজ্যের প্রসঙ্গে অভিনেতা ইলিয়াস কোবরা বলেন, আমার এলাকায় ইয়াবার কোন ব্যবসায়ী নেই। যারা আছে তারা লেবার হিসেবে কাজ করে। আমার এলাকায় একটা ভাল বাড়িও নেই। ইয়াবার কোন গডফাদার তো দূরের কথা।  

এসময় এসআই লিয়াকতের সঙ্গে তার কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লিয়াকতের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তার সঙ্গে সাবেক মেজরের মৃত্যুর দিনও কথা হয়েছে।

আমাদের এখানে একটা বস্তা পাওয়া গিয়েছিল, তখন আমি টেলিফোনে জানানোর পর লিয়াকত সাহেব আসেন। তিনি এসে বস্তাটা নিয়ে যান, আমাদের সদস্যকে নিয়ে গেছেন। তখন আমি তাকে বললাম, যে দেখে জানিয়েছে তাকেই যদি নিয়ে যান, তাহলে খবর দেবে কে?

#বখতিয়ার মেম্বারকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করে প্রদীপ-মর্জিনা (ভিডিও)

#আসামিদের র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

#বদি দম্পতির আশীর্বাদেই জ্বলছিলো প্রদীপ!

#নিহত সিনহার লাশে লাথি মেরে রাগ ঝাড়েন প্রদীপ

এসময় তিনি বলেছিলেন, তাদের স্যার কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তখন তার সঙ্গে বার বার কথা হচ্ছিল, তিনি মানতে চাচ্ছিলেন না। পরে ছেলেটাকে নিয়ে চালানে দিয়ে দেয়। ৩-৪দিন পর জামিন পায়। এভাবেই তারা করে।

তিনি আরো বলেন, সিনহার সঙ্গে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমার কোন সম্পর্ক নেই, এখানেও নেই, ঢাকাতেও কিছু নেই।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে সোহেল রানা পরিচালিত মারুক শাহ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ইলিয়াস কোবরার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন। তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ২০০০ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, ৩ গুলিতে ঝাঁজরা মেজর সিনহার শরীর  : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন র‌্যাবের কাছে জমা দিয়েছে পুলিশ।

রোববার (৯ আগস্ট) কক্সবাজার সিভিল সার্জনের মাধ্যমে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার র‌্যাবের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন।

জানা গেছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– খুব কাছ থেকে সিনহাকে গুলি করা হয়। তাকে তিনটি গুলি করা হয়েছে। তিনটি গুলি তার দেহে প্রবেশ করে আবার বেরিয়ে গেছে। এ কারণে তার শরীরে গুলির চিহ্ন ৬টি পাওয়া গেছে। তিনটি গুলির একটি সিনহার বাম বুকে, একটি বাম হাতের বাহুতে অন্যটি বুকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– সিনহার গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

৭ জুলাই কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও শাহীন আবদুর রহমান ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদনটি সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার বরাবর পাঠান। আজ পুলিশ সুপার সেটি সিনহা হত্যার তদন্তকারী র‌্যাব কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।

গত ৩ জুলাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজারে যান সিনহা।

৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। পরে গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

পাশাপাশি র‌্যাব ১৫-এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে সিনহা হত্যার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

প্রথমে টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন মৌখিকভাবে টেকনাফ থানার সদ্য সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সদ্য সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি চার আসামি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে লিখিত আদেশে সবারই সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!