• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পাননি ব্যবসায়ীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১, ২০২০, ০৯:১৬ পিএম
সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পাননি ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা চামড়ার দাম পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে চামড়া বিক্রি করতে এসে ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেন। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে একটি সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে দিলে একটি গরুর চামড়া ৮০০ থেকে হাজার টাকা হওয়ার কথা। এখানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দামে তারা চামড়া কিনছে। এই দামে বাসা বাড়ি থেকে চামড়া কিনতে পারেননি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

কিছু আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে করে চামড়ার প্রকৃত দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে ভূতের গলি থেকে চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী ওয়াদুদ মিয়া বলেন, বাসা-বাড়ি থেকেই ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে চামড়া কিনেছি। বড় গরুর চামড়া জন্য ৭০০ টাকা দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে গড়পরতায় চামড়ার দাম ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পড়ে গেছে। অথচ এখানে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম বাড়াচ্ছে না। দাম কমিয়ে রেখে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

বিকেলের পর চামড়ার দাম পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সকাল সকাল চামড়া নিয়ে বিক্রি করতে এসেছি। অথচ সাড়ে ৫০০ টাকার উপরে গরুর চামড়ার দাম কেউ বলছে না। এই দামে চামড়া বিক্রি করলে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হবে, বলেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন।

তিনি আরো বলেন, আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কারসাজির কারণে আমরা চামড়ার দাম পাচ্ছি না। ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে চামড়া কিনাচ্ছেন। এতে করে আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছি।

এ ব্যাপারে জোনাকি লেদার অ্যান্ড গুডস-এর স্বত্বাধিকারী মো. বাবুল বলেন, আমরা ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫০০ টাকা দরে গরুর চামড়া কিনছি। এর চেয়ে বেশি দামে কিনতে পারছি না।

সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, কাঁচা চামড়ার পেছনে আমাদের আরও দুই থেকে আড়াইশ টাকা খরচ রয়েছে। তাই সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে সেই হিসেবে দাম ঠিকই আছে বলে জানান তিনি।

সিন্ডিকেট নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা কম। শুধু তাই নয় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত টাকা না পাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন আড়তদারসহ সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে মাদার হাইড অ্যান্ড স্কিন-এর স্বত্বাধিকারী হাজী ইলিয়াস বলেন, সিন্ডিকেটের বিষয়টি বলা হচ্ছে এটি মোটেও ঠিক নয়। এ ব্যবসায় সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা নেই। গত বছরের চেয়ে এ বছর ব্যাংক থেকে টাকা কম পাওয়া গেছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজার খারাপ হওয়ায় তার প্রভাব কিছুটা পড়েছে। তবে একটি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে আরো ৩০০ টাকা খরচ হয়। সেই হিসেবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই আমরা চামড়া ক্রয় করছি।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!