• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের হার


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ২৪, ২০২০, ০৭:২৩ পিএম
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের হার

ঢাকা : মিডল অর্ডারের শক্তি খসে গেছে বাংলাদেশের। মুশফিক না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারেও করতে হয়েছে কাঁটাছেড়া। যা দলের জন্য সুফল বয়ে আনেনি। পাকিস্তান আবার মিডল অর্ডারের অভিজ্ঞতা ও শক্তি বাড়াতে শোয়েব মালিকের স্মরণাপন্ন হয়। মালিক ফিফটি করে দলকে ৫ উইকেটে জিতিয়ে ফেরেন। বুঝিয়ে দেন এমন অনেক ম্যাচ জয়ের কালের সাক্ষী তিনি।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভালো শুরু করে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দুই ওপেনার ১১ ওভার খেলে তোলেন ৭১ রান। ওই 'ভালো খেলাটাই' যেন কাল হলো দলের জন্য। টি-২০ ফরম্যাটে দুই ওপেনারই খেলেন ওয়ানডে গতিতে। অ্যাংকরিং করেন দু'জনই। কিন্তু রান বাড়াতে ব্যাট তোলেননি কেউ। বাংলাদেশের ইনিংসও তাই শেষ পর্যন্ত বড় হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

দলের হয়ে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ৩৪ বলে খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। বিপিএলের মতো পাকিস্তান সফরেও প্রথম ম্যাচে সফল তিনি। কিন্তু তার ওই নামমাত্র ভালো খেলা কিংবা সফলতা দলের কাজে আসলো না। অন্য ওপেনার নাঈম শেখও তামিমের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ব্যাটিং করেন। তিনি খেলেন ৪১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।

এরপর লিটন দাস ক্রিজে এসে ধুঁকতে থাকেন। তামিমের মতো রান আউট হয়ে ফেরেন ১৩ বলে ১২ রান করে। পরে মাহমুদুল্লাহ-আফিফদের একটা ধাক্কা দিয়ে দলের রান বড় করতে হতো। কিন্তু পাকিস্তান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা সেটা পারেননি।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায়। দলের সেরা ব্যাটসম্যান এবং টি-২০ অধিনায়ক বাবর আযম গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন শফিউলের বলে। এরপর মোহাম্মদ হাফিজ ও আহসান আলী যথাক্রমে ১৭ ও ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ম্যাচ তখনও পক্ষে ছিল বাংলাদেশের। ইফতিখারকে ১৬ রানে ফিরিয়ে জয়ের আশাও জাগায় বাংলাদেশ।

কিন্তু টার্নিং পয়েন্টে শোয়েব মালিককে আউট করার পথ বের করতে পারেনি রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। তিনি ৪৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান। ফিফটির আগে অবশ্য মালিকের একটা ক্যাচ ফেলে দেন নাজমুল শান্ত। ক্যাচটা নিতে পারলে ম্যাচটা হয়তো আর একটু কঠিন হতো পাকিস্তানের। ম্যাচটা শেষ হতে পারতো বাংলাদেশের জয়ে। আবার পাকিস্তান তাদের জয় পাওয়া বলটায়ও ক্যাচ দেয়। মোহাম্মদ মিঠুন সেটা নিতে পারলেও হারটা ছোট হতো বাংলাদেশের।

পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচে হ্যারিস রউফ ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। শাদাব খান ৪ ওভারে দেন ২৬ রান। নেন ১ উইকেট। এছাড়া দারুণ বল করা শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।

বাংলাদেশের হয়ে শফিউল ইসলাম নেন ২ উইকেট। আল আমিন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪ ওভারে দেন ১৮ রান। উইকেট পান একটি। আমিনুল তার ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় দখল করেন একটি উইকেট। দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে তিনি উইকেট নেন একটা। বিপিএলের শেষ দিকে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া এই পেসার আবার বিবর্ণ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!