• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুইপারের ঘরে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাননি রায়হান


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ১৯, ২০২০, ১০:১০ এএম
সুইপারের ঘরে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাননি রায়হান

ঢাকা: পুলিশের তাড়া খেয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাননি সিলেটে নির্যাতনে নিহত রায়হান। সেখান থেকে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে করা হয় নির্যাতন। তবে কেন তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় এখনো মেলেনি তার উত্তর। আটকের পর এক এএসআইয়ের মোবাইল থেকে টাকা দাবি করা, সিসিটিভির ফুটেজ, ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১০ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে তাড়া খেয়ে কাষ্টঘরের পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সুলাই লালের বাসায় আশ্রয় নেন রায়হান। তার ৫ মিনিট পর সুস্থ অবস্থায় পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এমন কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসীও।

পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুলাই লাল বলেন, পুলিশ এসে দরজায় টোকা দিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন কোন লোক এখানে এসেছিল? আমি বললাম, ভেতরে দেখেন। পরে পুলিশ ভেতরে ঢুকে বলে এই তো ছিনতাই বলে ধরে নিয়ে যায়। মোট ছয়জন পুলিশ ছিলেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রায়হানকে সুস্থ অবস্থা সিএনজি অটো থেকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। ফাঁড়িতে থাকা অবস্থায় এএসআই তৌহিদের মোবাইল থেকে রায়হান জানায় তাকে পুলিশ ধরে এনেছে, টাকা নিয়ে যেতে বলে।

ফাঁড়িতে তিন ঘণ্টা নির্যাতনের পর অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরও গেছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজিচালক।

রায়হানের মা বলেন, আমার ছেলে ফোন করে বলেছিল; আম্মা দ্রুত কিছু টাকা নিয়ে আসো। আমাকে পুলিশ ধরে আনছে।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় রায়হানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডাকাতি করতে গিয়ে রায়হান আহত হয়েছেন বলেছেন বলে জরুরি বিভাগের ভর্তির নথিতে উল্লেখ করেন এএসআই আশিক এলাহি। হাসপাতালে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট চিকিৎসার পর মারা যান রায়হান।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে থেকে জানা গেছে, শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন ছিল; তার মধ্যে দুটি আঙুলের নখ তার উপড়ে ফেলাসহ ১৪টি গুরুতর জখম ছিল।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!