• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুগন্ধায় বালু উত্তোলনের মহোৎসব, হুমকিতে তীরবর্তী গ্রাম


ঝালকাঠি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮, ০২:২৭ পিএম
সুগন্ধায় বালু উত্তোলনের মহোৎসব, হুমকিতে তীরবর্তী গ্রাম

ছবি: সোনালীনিউজ

ঝালকাঠি : জেলার সুগন্ধা নদীতে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। বালুখেকো একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল পয়েন্ট এবং ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে সুগন্ধা-বিষখালী নদীর মোহনাসহ একাধিক স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর দুই পারে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে সাতটি ড্রেজারের সাত শ্রমিককে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী নদীতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেছিলেন। কিন্তু তারপরও থেমে নেই বালু উত্তোলন। প্রায় সারা বছর ধরে বালু উত্তোলনের ফলে সুগন্ধার তীরবর্তী ঝালকাঠি-নলছিটি এলাকার কয়েকটি গ্রামে ভাঙন ক্রমশই বাড়ছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ঝালকাঠি শহর রক্ষা বাঁধ, নলছিটির বাড়ৈবাড়ি ইট ভাটাসহ কয়েকটি গ্রাম, ঝালকাঠির তেল ডিপো এলাকা, পুরাতন কলেজ এলাকা, ভবানীপুর, কিস্তাকাঠি, তোঁতা ফকিরের মাজার এলাকা, নাপ্তের হাট, দিয়াকুল গ্রাম ভয়াবহ নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকার কয়েক শ একর আবাদি জমি ও বসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বালু কর্মচারী জানান, সুগন্ধা নদী থেকে দিনরাত ৪-৫টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলে। বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করেই তারা বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনকারীরা চারটি সেক্টরে নিয়মিত মসোহারা প্রদান করে যাচ্ছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাহার মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানি। প্রতি সপ্তাহেই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু অভিযান চালিয়ে চলে আসার পরই তারা আবার রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করে। এটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে শিগগিরই একটি মিটিং হবে। সে মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি ঝালকাঠিতে কোনো অনুমোদিত বালুমহল না থাকায় বিকল্প কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!