‘সুধাসদন’ থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাবেন শেখ হাসিনা

ঢাকা: আওয়ামী লীগ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারনার কাজ। দলের নির্বাচনী কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের পরিবর্তে ধানমন্ডি ৫ নম্বরে নিজের বাড়ি ‘সুধাসদন’ থেকে পরিচালনা করবেন তিনি।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালীপাড়ায় পৃথক দুটি নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নৌকায় ভোট চাইবেন। আর বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আটটি টিম আট বিভাগের জেলা-উপজেলা চষে বেড়াবেন।

এদিকে নির্বাচনী কাজে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ ব্যবহার করবেন না শেখ হাসিনা। ধানমন্ডি ৫ নম্বরে নিজের বাড়ি ‘সুধাসদন’ থেকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের যাবতীয় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তিনি।

সুধাসদনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নীতিনির্ধারণী বৈঠক, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনী কাজে সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন না তিনি। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দলের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে আট বিভাগের জন্য ৮টি টিমের খসড়া তালিকা করা হয়েছে। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালিকা চূড়ান্ত করবেন। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে আমাদের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হচ্ছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনী কাজগুলোর সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া নির্বাচনী কাজে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবার মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী কার্যক্রম সমন্বয়, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে সুধাসদনে নিয়মিত বসবেন। ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, সুধাসদন থেকে শেখ হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকসহ দলের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়াও যেসব জেলায় যেতে পারবেন না—এমন কিছু জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেবেন।

তিনি আরো জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন না। এজন্য বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সড়কপথেই টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন এবং সড়কপথেই ফিরবেন।

২০ জেলায় জনসভা করবেন শেখ হাসিনা : দলীয় সূত্র জানায়, বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এবং কোটালীপাড়ায় পৃথক আরেকটি জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাতযাপন শেষে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সড়কপথে মাওয়া হয়ে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুরে দুটি এবং মুন্সীগঞ্জে একটি পথসভায় যোগ দিতে পারেন শেখ হাসিনা। এবার ২০টি জেলায় নির্বাচনী জনসভা এবং পথসভায় অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে— সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, রংপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, নড়াইল, যশোর, বাগেরহাট, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোরসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম